ঢাকা: সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশের জন্য একটি আতঙ্কের নাম। প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাচ্ছে অসংখ্য সড়ক দুর্ঘটনা এবং এর ফল মারা যাচ্ছে অসংখ্য নিরীহ মানুষ।

প্রতিনিয়ত এই দুর্ঘটনার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে পাশাপাশি বাড়ছে লাশের সংখ্যা।

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রতিদিন দেশের কোথায় না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর ঘটনা ঘটছে।

কিন্তু কেন এতো দুর্ঘটনা?

সড়কে আইন মেনে না চলা তো আছেই তাছাড়াও ইউনূস প্রশাসনের কড়া নজরদারি নেই। লোকজন যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে সড়ক ব্যবহার করছে। কোনো বাধা নেই, কেউ কাউকে মানে না। আর ইউনূসের এই সরকারও মৌন।

বেপরোয়া গাড়ি চালানো, খামখেয়ালিপনা, জনসচেতনতার অভাব এবং দায়ী চালকের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির বিধান না থাকায় অহরহ ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।

প্রতিদিনই যন্ত্রদানবের হত্যার শিকার হয়ে দেশের মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। চিরদিনের মত পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে অনেককেই।

কোন খাতে ইউনূস ঠিকমতো নজর দিয়েছেন বিগত এক বছরে? শুধু নিজের তল্পি ভরছেন। আর সুযোগ পেলেই উড়াল দেবেন সব নিয়ে।

আগস্ট মাসে সারা দেশে ৪৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় ৫০২ জন নিহত এবং এক হাজার ২৩২ জন আহত হয়েছেন।

এই মাসে রেলপথে ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত এবং ৭ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ২১টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত, ২২ জন আহত আর ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৫৫২টি দুর্ঘটনায় ৫৬৩ জন নিহত এবং এক হাজার ২৬১ জন আহত হয়েছে।

বুধবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো দুর্ঘটনা প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

তবে সংখ্যাগুলো আরো বেশিও হতে পারূ অনানুষ্ঠানিকভাবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এসময়ে ১৬৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭৬ জন নিহত আর ১৪৪ জন আহত হয়েছেন।

যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩.১৯ শতাংশ, নিহতের ৩৫.০৫ শতাংশ ও আহতের ১১.৬৮ শতাংশ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *