ঢাকা: বাংলাদেশে মানবিকতার খাতিরে কোনোকিছু বিবেচনা করা হয় না। এখানে যা কিছু হচ্ছে সব দুর্নীতি, ধান্দা।
দেশে পরীক্ষাকেন্দ্রে সময়মতো না পৌঁছাতে পারায় হারিয়ে গেলো এক বছরের পরীক্ষা। রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে পৌঁছাতে তার অল্প দেরি হয়।
আজকের সমাজে কোথায় যাচ্ছে আমাদের মানবতা?
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও।
কিশোরী অঝোরে কাঁদছে। সে এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
কিন্তু কেন সে দেরি করলো?এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো পরীক্ষাকেন্দ্রের কেউ সাথে সাথে জানতে চায়নি।
উক্ত শিক্ষার্থীর সকালে স্ট্রোক করেন। এই মেয়েটি নিজেই মাকে হাসপাতালে ভর্তি করে তারপর ছুটে আসে বাংলা কলেজে, পরীক্ষার হলে।
কিন্তু কয়েক মিনিট দেরি হয়ে যাওয়ায় তাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।
কান্নারত মেয়েটির কথাগুলো ছিল এমন-
“আম্মু হসপিটালে… আমি ওনাকে হাসপাতালে দিয়ে এসেছি… একটু লেট হয়ে গেছে… প্লিজ আমাকে পরীক্ষা দিতে দেন…”
কিন্তু ‘নিয়ম’ তার প্রতি এতটুকু সহানুভূতিও দেখাতে পারলো না। নিয়মের আগে কি মানবতা নেই?
বাংলাদেশে নিয়মের বাইরে গিয়ে কী সরকার চলছে না?
হ্যাঁ, সময়ানুবর্তিতা প্রয়োজনীয় এবং বোর্ড কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে সময় মেনে কেন্দ্রে প্রবেশের নিয়ম দেয়।
তবে কোন নিয়মই কি এতটাই অমানবিক হতে পারে যে, একজন পরীক্ষার্থী যার মা স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি— তাকে সহানুভূতি দেখানো যায় না?
এখন বলা হচ্ছে বিষয়টি বিচারাধীন। শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার।
শুক্রবার (২৭ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে আশ্বস্ত হয়তো এটি, আদৌ নেয়া হবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই।