ঢাকা: বিএনপির আসল মুখোশ আবারো খুলে গেল। বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের পদ স্থগিত করার ঘটনায় পরিষ্কার হলো, ওদের রাজনীতির নীলনকশা এখনও সেই ৭১–এর পরাজিত শক্তির দোসর জামাতকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে।
বিএনপি এক পা আগে বাড়তে পারেনি। রাজাকার চিরদিনের রাজাকার।
বিএনপির কাছে গণতন্ত্রের অর্থ কী? মুক্তিযোদ্ধা যখন ক্ষমতার সমীকরণে বোঝা , আর যুদ্ধাপরাধী রাজাকার যখন ঘরের মানুষ তখন বোঝাই যায়, বিএনপির কাছে গণতন্ত্র আসলে জামায়ত নামক একটি লাইফ সাপোর্ট মেশিন ছাড়া কিছু নয়।
পাকিস্তানি ভাবধারার উত্তরাধিকার বহন করাই হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক ডিএনএ।
এরা আবার স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বপ্ন দেখে! এরা চালাবে দেশ?
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের ভেতরে এখনো এমন একটি মহল সক্রিয় আছে যারা গণতন্ত্রকামী শক্তির বিরুদ্ধে কাজ করছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এরা চায় না গণতন্ত্রের শক্তি ক্ষমতায় আসুক।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও ভাসানী জনশক্তি পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় ফখরুল এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা করেছি। কোথাও কোনো বাধা সৃষ্টি করিনি। এমনকি বড় কোনো দাবি তুলেও সরকারকে বিপদে ফেলিনি।
কিন্তু এখন কিছু রাজনৈতিক মহল পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য নিত্যনতুন দাবি তুলছে। যেসব দাবি সাধারণ মানুষের কাছে একেবারেই অপরিচিত।
সংস্কার ও প্রতিনিধিত্ব ইস্যুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রতিনিধিত্ব (পিআর), এটা বোঝানোই কঠিন। মানুষ কাকে ভোট দিলো, সেটি প্রতিফলিত হলো না সংসদে। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।