ঢাকা: এইবার ভিপি হইতে আর কোন বাধা নাই। তা তুমি নিজেও যে শিবির ছিলে সেটা উল্লেখ করলানা?
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ছাত্রলীগ পরিচয়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের অংশীদার হতেন এমন ‘ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের’ পরিচয় দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার প্রতিউত্তরে খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছে যে এই রগ কাটা শিবির ছাত্রলীগের কতটা ক্ষতি করেছে।
আসলে কাদের নিজের থেকেই শিকার করে নিলো যে শিবির কীভাবে কাজ করেছে, কোন ফর্মূলায় কাজ করেছে।
সমন্বয়ক আব্দুল কাদের অভিযোগ করেছে, লিখেছে, ‘আমরা ক্যাম্পাসে দেখেছি, শিবিরের যে সকল ছেলেরা ছাত্রলীগে গুপ্ত আকারে প্রবেশ করতো তারাই বেশি আগ্রাসী ছিল। ক্যাথলিক মোর দ্যান পোপ সাজার চেষ্টা করত। গেস্টরুমে তারাই বেশি আক্রমণাত্মক থাকতো।
নিজেকে ছাত্রলীগার প্রমাণ করার জন্য এসব কাজ করতো। হলে হলে ছাত্র নির্যাতন, শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্যাতনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিবির থেকে আগত ছাত্রলীগরাই সম্মুখ সারিতে থাকতো। অসংখ্য নজির আছে এমন।’
গুপ্ত শিবিরের বিরুদ্ধে আব্দুল কাদেরের এই অভিযোগ সত্য বলে দাবী করেছে সমন্বয়ক মাহিন সরকার।
উল্লেখ্য যে, এই মাহিন সরকারই ১৫ জুলাইয়ের ঘটনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯১ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে।
আব্দুল কাদেরের বক্তব্যের সমর্থনে আরেক সমন্বয়ক আরমান হোসেন লিখেছে, ‘আব্দুল কাদের শতভাগ সত্য বলেছে। ১৫ই জুলাইয়ের আক্রমণে ছাত্রলীগের ভেতরে থাকা শিবিরের লোকজনের অংশগ্রহণ এবং মামলার আসামী হওয়া এর প্রমাণ।’
উল্লেখ্য যে, আরমান হোসেন আইন বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ও ১৫ জুলাইয়ের ঘটনায় শাহবাগ থানায় হওয়া অপর একটি মামলার বাদী।
ছাত্রলীগ বলেছে, আমরা বহুদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছি, গুপ্ত শিবিরের একাংশ ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করে নানা রকম অপকর্মে জড়িয়ে জনমনে ছাত্রলীগের প্রতি বিরূপ ধারণা তৈরি করেছে।
যার অন্যতম উদাহরণ ছিলো বুয়েটের আবরার হত্যা। এছাড়াও গেস্টরুম নির্যাতনসহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে নানা রকম অপকর্মে যাদের নাম বার বার সামনে এসেছে হলগুলোতে এখনো তাদের শক্তিশালী উপস্থিতিই প্রমাণ করে, তারা গুপ্ত শিবিরের প্রতিনিধি হিসেবে ছাত্রলীগে মিশে ছিলো।
শিবিরের সাবেক সাথী ও বর্তমান সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরের স্বীকারোক্তি আমাদের এই অভিযোগকে আরো বেশি সত্য প্রমাণ করে।
আর ১৫ জুলাইয়ের ঘটনার সূত্রপাত যেখান থেকে, বিজয় একাত্তর হলে হামলা, তা যে সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত ও একপাক্ষিক, তা ইতোমধ্যেই প্রথম আলোর প্রতিবেদন ও বিভিন্ন সূত্রে সবাই জেনেছেন।
পাশাপাশি আরমান হোসেনের মন্তব্যে এটাও প্রমাণিত হলো, শিবির ও ছাত্রদল প্রথমে বিজয় একাত্তর হলে হামলা করে এবং এর প্রতিক্রিয়ায় ছাত্রলীগের ভেতরে লুকিয়ে থাকা গুপ্ত শিবির ছাত্রলীগকে দেশবাসীর সামনে হামলাকারী হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য পাল্টা হামলা করে।
সত্য কখনো গোপন থাকে না। সত্যগুলো এভাবেই প্রকাশিত হবে। সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, মাহিন সরকার ও আরমান হোসেনকে ধন্যবাদ এই সত্যগুলো প্রকাশ করার জন্য।