ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত হয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধ। এবং এর দায় আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার উপর চাপানোর চেষ্টা চলছে।

জুলাই আগস্টের ষড়যন্ত্র এবং ম্যাটিকুলাস ডিজাইনের অংশ হিসেবে নিরীহ ছাত্র ,সাধারণ নাগরিকদের হত্যাকান্ডের হাজার হাজার ভিডিও রাজসাক্ষী হিসেবে প্রস্তুত আছে, কাউকে টাকা দিয়ে অথবা বাধ্য করে সাক্ষী করতে হবে না।

পুলিশকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা, কারাগার ঘেরাও করে আগুন‌ লাগিয়ে দাগী আসামীদের পালানোর পথ সুগম করে দেয়া এগুলো আওয়ামী লীগ করেনি। সব ষড়যন্ত্র হয়েছে ইউনূসের ডিজাইনে।

আর এখন অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

ট্রাইব্যুনালে তিনি বলেছেন, “আমি জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এই মামলায় আমি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রাজসাক্ষী হতে চাই।”

একদিকে মামুনের রাজসাক্ষী হতে চাওয়া, অন্যদিকে হাসিনার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিবিসির অডিও প্রকাশ করা দুটি বিষয় খুব মিল! মিল করার চেষ্টা চলছে।

বিবিসির প্রতিবেদন, অডিও পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট। এর তীব্র সমালোচনা করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

সুযোগ পেলে পা চাটা মানুষগুলোও পল্টি মারে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করে পল্টি মেরেছেন সেভাবেই পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

চাপে ফেলেই তাঁকে এভাবে বলানো হয়েছে। মিল রাখা হয়েছে বিবিসির অডিও সাথে। গোটা ঘটনাই পূর্ব পরিকল্পিত।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফর্মাল চার্জ) গঠনের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন।

মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি হিসেবে রয়েছেন। আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান দেশে নেই।

এর মধ্যেই পাল্টি খেয়েছেন মামুন। বিএনপি সন্ত্রাসী দল মামুনকে রাজসাক্ষী দিতে বাধ্য করেছে, এমনটাও ঘটতে পারে। রাজসাক্ষী দিতে গলায় ধরে হয়তো তাঁকে বাধ্য করা হয়েছে!

আরো একটি বিষয় এখানে উল্লেখযোগ্য যে, একজন আসামী আদালতে দোষ স্বীকার করেছে, কিন্তু সেই দোষ স্বীকারের ভিত্তিতে অন্যদেরকে দোষী হিসেবে ধরে নেওয়া যায় না।

একজন আসামী যদি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে স্বেচ্ছায় (স্বতঃস্ফূর্তভাবে) নিজের দোষ স্বীকার করে, তাহলে তা আদালতে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।

তবে এই স্বীকারোক্তি শুধুমাত্র উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে, অন্যদের বিরুদ্ধে নয়, যদি না অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্টভাবে প্রমাণ থাকে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *