ময়মনসিংহ: দেশে কী আর আচার বিচার, মনুষত্ববোধ আছে লোকের? দেশটা কোন নরকে চলে গেলো? এখানে জীবন্ত নারী তো বহু কাছে, মৃত নারীও ধর্ষণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না!

মেডিকেল কলেজের মর্গের মতো একটি সুরক্ষিত ও সংবেদনশীল স্থানে মৃতাকে ধর্ষণ করা হলো? এগুলো কোনো মানুষের কাজ হতে পারে?

সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে এই পৈশাচিক ঘটনা ঘটে।

এমনকি বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল হকের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে অভিযুক্ত যুবক।

ছিঃ ছিঃ! ধিক্কার এই জঘন্য কর্মকে!

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা এক তরুণীর মরদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করেছে মর্গের ডোম আবু সঈদ (২০)।

মর্গের চিকিৎসক বিষয়টি নিশ্চিত করার পর পুলিস দ্রুত ডোমকে গ্রেফতার করে। ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হাসপাতাল ও পুলিস সূত্র জানিয়েছে, গত সোমবার রাতে ময়নাতদন্তের জন্য ওই তরুণীর মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়। পরদিন সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃতদেহের ময়নাতদন্ত শুরু করার সময় অস্বাভাবিক কিছু জিনিস দেখতে পান।

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক পরে জানান, ময়নাতদন্তের সময় তিনি নিশ্চিত হন, মৃতদেহটি মর্গে আসার পর তার ওপর পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে।

সাথে সাথে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিসকে জানানো হয়।

পুলিস দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্দেহবশত মর্গের দায়িত্বে থাকা ডোম আবু সাঈদকে (২০) জিজ্ঞাসাবাদ করে। জেরায় অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতার হওয়া ডোম সঈদের বাড়ি হলো ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *