ঢাকা: দেশে দুর্নীতি দমনে একমাত্র স্বাধীন সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে সংস্থাটির বিরুদ্ধে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ‘সিলেকটিভ’ নিয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, সিলেকটিভভাবে সংস্থাটি কেবল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছে।

এবার বলা হচ্ছে, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, তার স্ত্রী ও ছেলের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বলা হয়েছে, তাদের নামে প্রায় ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ায় পৃথক পৃথক সম্পদ বিবরণী নোটিশ পাঠিয়েছে দুদক।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, আব্দুর রাজ্জাকের নামে মোট ৬ কোটি ৭২ লাখ ৩৭ হাজার ২৯০ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।

এর বিপরীতে বৈধ আয়ের উৎস হিসেবে পাওয়া যায় ৪ কোটি ৭৭ লাখ ৬৪ হাজার ৯১৬ টাকা।

তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৪ টাকা।

তার আয়কর রিটার্নেও নাকি প্রায় ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।

দুদক বলছে, রাজ্জাক পরিবারের সম্পদ বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(১) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির করা হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *