সিলেট: সিলেটে পাথর চুরি কাণ্ডে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার,এএসপি সার্কেল,চারজন ইউএনও,এসিল্যান্ড,ওসি,ডিবি পুলিশ, ভূমি কর্মকর্তা, বিএনপি, জামাত, এনসিপি নেতারা জড়িত।
এটাই কি নতুন বাংলাদেশ, নতুন বন্দোবস্ত আর নতুন সংস্কার?
শুধু মুখে মুখে সংস্কার, দুর্নীতি প্রতিরোধ কিন্তু তলে তলে দুর্নীতির মহোৎসব।বর্তমানে দেশের অবস্থা এইরকম।
সিলেটের সাদা পাথর লুটের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধানে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
তবে দুইজন জামাতি, এনসিপির নাম যে উঠে এলো, এরা চারজনই জড়িত ছিলো?
১৪ জনের দশজন বিএনপির আর বাকি চারজন জান্নাতি লোক!
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর এলাকা থেকে কয়েকশ কোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সুবিধাভোগী হিসাবে খনিজসম্পদ অধিদপ্তর, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিগত ১ বছরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করা ৪ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও বিজিবির নাম উঠে এসেছে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে।
শুধু তাই নয়, স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ৪২ জন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরাও যুক্ত আছে এই কাণ্ডে।
গোটা সিস্টেমটাই চোর, বাটপারে ভরে গেছে। বিগত এক বছরে গোটা দেশ খনন করে ফেলেছে জঙ্গীরা। পুলিশ প্রশাসন নীরব।
পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি না থাকলেও গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে, বিশেষ করে গত ৩ মাস ধরে পাথর উত্তোলন চলতে থাকে।
জামায়াতের দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন-সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. ফকরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন।
এনসিপির দুই নেতার নাম-সিলেট জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন ও মহানগর প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী।