ঢাকা: নির্বাচন হবে হবে এমন একটা ব্যাপার। আদৌ হবে কিনা, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর এই ঘোলা পানিতে মাছ ধরার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে দলগুলো! যদি একটু সহানুভূতি আদায় হয় জনগণের, এই আরকি!
এবার এবি পার্টি যা বললো:
মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের পরদিন সেখানে বিক্ষোভের মুখে দুই উপদেষ্টার অবরুদ্ধ থাকা এবং সচিবালয়ে বিশৃঙ্খলা উপদেষ্টাদের প্রতি জনগণের অনাস্থা তৈরির ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান (মঞ্জু)।
অন্তর্বর্তী সরকারকে দুর্বল সরকার বলে অভিহিত করেন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ কী বলেছিলেন মনে আছে?
প্রফেসর ইউনূসকে ১০/৫০ বছর এর জন্য চায় জনগণ। জিয়াউর রহমানের পর সবচেয়ে সফল সরকার হবে ইউনূস সরকার! এখন কী হলো?
সফল সরকার এবি পার্টির কাছে দুর্বল সরকার কী করে হলো?
বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে মজিবুর রহমান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মজিবুর রহমান বলেন, সরকার কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এটি সরকারের একটি বড় ব্যর্থতা। সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কমে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অংশীদার এবং গণ-অভ্যুত্থানের নায়কদেরও গ্রহণযোগ্যতাও কমেছে।
গণ-অভ্যুত্থানের অংশীদারদের অনৈক্যের পেছনে সুনির্দিষ্টভাবে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর বিভেদের কারণেই ফ্যাসিবাদ বারবার সুযোগ নিচ্ছে।
সংস্কার ও সঠিক সময়ে নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয়ের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন বলে জানান মজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘তাঁকে (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছি, আপনি যদি প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে না পারেন, আবার ভালো নির্বাচনও নিশ্চিত করা সম্ভব না মনে করেন, তাহলে পদত্যাগ করে চলে আসুন। সংস্কার ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগ্রহী সব পক্ষ মিলে আপনার নেতৃত্বে আমরা একটা নির্বাচনী অ্যালায়েন্স করি।’
