ঢাকা: জননেত্রী শেখ হাসিনার অগ্নিঝরা বক্তব্য জঙ্গীগোষ্ঠীর কলিজায়, সিংহাসনে কাঁপুনি ধরেছে সেটা খুব ভালোভাবে বোঝা যাচ্ছে।
বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আজ কোন অন্ধকারে হারিয়ে গেলো?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রকাশ করলে আইনি ব্যবস্থা নেবে অবৈধ সরকার।
দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দিচ্ছে ইউনূস সরকার। মুক্তিকামী জনগণ বলছে, যতই গলা চেপে ধরবে, ততই আওয়াজ উচ্চস্বরে বের হবে।
বাংলাদেশকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের কথা বলে এই ইউনূস জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন।
গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের নামে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে যারা ভূলুণ্ঠিত করলো, পদদলিত করলো সেই বিএনপি-জামাত আজ শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারী বলে।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কিছু গণমাধ্যমকে সতর্ক করেছে সরকার। প্রেস উইং-এর বিবৃতি স্পষ্ট—শেখ হাসিনার কোনো বক্তব্য প্রকাশ করা মাত্রই তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশ্ন থেকেই যায় যারা শুধু নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত, প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই যাদের সব আয়োজন, তারা কবে জনগণের কথা ভাববে?
শেখ হাসিনা তো দেশে নেই, আর তাঁর বক্তব্যে এমন কোনো উস্কানি নেই যাতে দেশে দাঙ্গা লাগবে।
দেশে দাঙ্গা লাগার মতো ভাষণ আর কাজ করছে জঙ্গীরাই। হাসিনার ছায়াকেই ইউনূসের এত ভয়!?
শুক্রবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশের টেলিভিশন, সংবাদ এবং অনলাইন আউটলেটগুলিতে ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত অপরাধী এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার অডিও সম্প্রচার এবং প্রচার ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।
“তাছাড়া, গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক স্বৈরশাসকের ঘৃণা ছড়ায় এমন বক্তব্য সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে।”
সরকার বলছে, “আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করেছি যে, কিছু গণমাধ্যম বৃহস্পতিবার আইন ও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের একটি ভাষণ প্রচার করেছে, যেখানে তিনি মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।
“আমরা এ ধরনের অপরাধমূলক প্রচারকর্মে জড়িত গণমাধ্যমের কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিচ্ছি এবং দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছি যে, শেখ হাসিনার বক্তব্য কেউ ভবিষ্যতে প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “আমাদের জাতির ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমরা অপ্রয়োজনীয় বিভ্রান্তি তৈরির ঝুঁকি নিতে পারি না।
এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে শেখ হাসিনা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় শত শত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীর গণহত্যার নির্দেশ দেওয়ার মত গুরুতর অভিযোগের পরে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছেন।
“আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং বর্তমানে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন রয়েছে।
তদুপরি, বাংলাদেশের আইন অনুসারে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং একই সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ অনুসারে, যে কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন যারা তাদের নেতাদের কার্যকলাপ বা বক্তৃতা প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।”
সরকার বলছে, “প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা এবং গণতান্ত্রিক অখণ্ডতার উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের দিকে পরিচালিত করার জন্য কাজ করছে।
বাংলাদেশের জনগণ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম প্রথমবারের মতো সত্যিকার অর্থে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে”।
যোগ্যতার মাপকাঠিতে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ানোর দক্ষতা, ক্ষমতা কোনোটাই নেই ইউনূস আর তাঁর বাহিনীর । তাই প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি চালিয়ে এই কাণ্ড গুলো ঘটানো হচ্ছে।