ঢাকা: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছেই। মৌলবাদীরা দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা তো চালাচ্ছেই, এর পাশাপাশি হিন্দুদেরকে লক্ষ্যবস্তু করে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।
এর উদ্দেশ্য একটাই, হিন্দুদেরকে নির্যাতন করা। এবং যে কয় শতাংশ হিন্দু জীবিত আছে এখনো তাঁরাও যেন আর থাকতে না পারে সেই পাঁয়তারা চলছে।
হিন্দুদের প্রতিটি পুজোয় প্রতিমা ভাঙচুর হয়, হামলা হয়। আর মুহাম্মদ ইউনূসের সময় এই অত্যাচার আরো বেড়েছে।
ইউনূসের আস্কারাতেই দেশ রসাতলে গিয়েছে।
২৭ জুন শুক্রবার, ২০২৫ রথযাত্রা পালিত হবে। এই দিন প্রভু জগন্নাথ, প্রভু বলরাম এবং দেবী সুভদ্রা নগর ভ্রমণ করেন।
এই উপলক্ষে হিন্দুদের নিরাপত্তার বিষয়টা জটিল এখনের সময়।
আসন্ন রথযাত্রা ও উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে একটি সমন্বয় সভা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার সকাল ১১টায় ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিতত্ত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সভায় জানানো হয়, ২৭ জুন রথযাত্রা ও ৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রথযাত্রায় টহল দল, সিসিটিভি ক্যামেরা, ফুট পেট্রোল, রুফটপ পার্টি, হোন্ডা মোবাইল টিম, গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), সাদাপোশাকে গোয়েন্দা, সোয়াট, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও ট্রাফিক পুলিশ থাকবে।
তবে নামাজের সময়, আজানের সময় মাইক ব্যবহার করা যাবে না। যদিও মুসলমানরা হিন্দুদের সংকীর্তনের মাইক করে না।
উল্টো মন্দিরে গভীর রাতে কোরান রেখে দিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়।
তবে সিসি ক্যামেরা, বা নিরাপত্তা যতই নিশ্চিত করা হোক, বাংলাদেশে হিন্দুরা নিরাপদ না।
আর এই সরকারের আমলে তো কোণঠাসা হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।