গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ সেনা সদস্য এবং পুলিশ বাহিনী – বৃষ্টিরমত গুলি করে সাধারণ মানুষকে গণহত্যা গুম ও নির্যাতন করেছে।
এই গণহত্যা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আগামী কাল ২০ জুলাই সারা দেশব্যাপী হরতাল অবরোধ সফল করবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও লালনকারী বাঙালি জাতি।
১৬ই জুলাই ২০২৫ ইং জঘন্য বর্বরতা নির্বিচারে গণহত্যা, রাতের অন্ধকারে গুম খুন করা হয়েছে।
হেলিকপ্টারে করে লাশ সমুদ্রে নিক্ষেপ করা, সমগ্র বাংলাদেশের জানমাল নিরাপত্তাহীন সাধারণ জনগণ এখন। বিশ্ব পরিমন্ডলে স্বাধীন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে।
সারাদেশে লুটপাট ছিনতাই ও ধর্ষণ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্ন ভাংচুর সহ সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে হরতাল ও অবরুদ্ধ চলবে।
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সাধারণ জনগণ, কৃষক-শ্রমিক, নারী-শিশু এবং শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথিত ‘ক্যাঙারু কোর্টে’ বিচার বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যৌথভাবে আগামী ২০ জুলাই দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতালের ডাক দিয়েছে।
এই চার সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে দাবি করা হয়, খুনি-জঙ্গি-অবৈধ-ফ্যাসিস্ট ইউনূস পরিচালিত সরকারের দমনপীড়ন ও সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এই হরতাল শুধু প্রতিবাদ নয়, বরং এটি একটি গণআন্দোলনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই হরতাল ‘যমুনা ঘেরাও’ কর্মসূচির প্রস্তুতির অংশ, যা দেশে চলমান ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত লড়াইয়ের শুরু হিসেবে বিবেচিত হবে।
তাদের দাবি, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচার নয়, বরং রাজনৈতিক অপমান ও গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য এই বিচারকার্য পরিচালিত হচ্ছে, যা দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।
বিবৃতিতে ছাত্র-তরুণ-যুব, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীসহ দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি হরতাল সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তাদের ভাষায়, প্রিয় মাতৃভূমিকে বিদেশি স্বার্থে জঙ্গিঘাঁটিতে পরিণত ও ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই বাস্তবায়ন হতে দেওয়া যাবে না। তারা ইউনূসকে হটিয়ে দেওয়ার এবং চূড়ান্ত বিজয়ের দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেন।