মাগুরা: মাগুরায় আট বছরের শিশুটির ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার, ৭ মে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের দুই চিকিৎসকের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার শুনানি শেষ হয়।
ঘটনায় মামলার বাদীসহ মোট ২৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। মাগুরার আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি শনাক্ত এবং তাদের বক্তব্য শুনেছে আদালত।
প্রসঙ্গত, মাগুরায় দিদির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল আট বছরের বাচ্চাটি। এবং সেখানেই নিজের আত্মীয়দের লালসার শিকার হয় সে।
শিশুটির মা লিখিত অভিযোগে জানান, তাঁর বড় মেয়ের শ্বশুর ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন। এই কাজে তাঁকে সহায়তা করেছেন বড় মেয়ের স্বামী, অর্থাৎ শিশুটির জামাইবাবু। আর এই গোটা ঘটনার কথা জানতেন শিশুটির দিদির শাশুড়ি এবং ভাসুর। শিশুটিকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টাও করা হয়।
অবশেষে তাকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতাল, পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।চিকিৎসারত অবস্থায় ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশুটি মারা যায়।
এই ঘটনায় শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখ, জামাই সজীব শেখ, তার ভাই রাতুল শেখ এবং মা রোকেয়া বেগমের নামে মামলা করেন। পুলিশ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
বাংলাদেশে ধর্ষণ এখন প্রতিদিন ঘটছে। ঘরে ঘরে নারী নির্যাতনের ঘটনা। কিন্তু ধর্ষণ দমনে সরকারের নেই কার্যকরী পদক্ষেপ । নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার মাত্রা আগের সময়ের চেয়ে বেড়েছে। তবে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, গত মাসে ধর্ষণের শিকার ১৬৩ জনের মধ্যে ১২৫ জন কন্যাশিশু। তার মধ্যে ১৮ জন কন্যাশিশুসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এবং দুই জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। দুই জন কন্যাশিশু ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করে। এছাড়াও ৫৫ জন কন্যাশিশুসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।