ঢাকা: আইন উপদেষ্টা নামক অপদেষ্টা জুলাই জঙ্গী আন্দোলনে নিহতদের বিচার চান কিন্তু এদিকে দেশের আইন ব্যবস্থা যে ভেঙে পড়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের গলায় জুতার মালা পরিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, জঙ্গীদের জেল থেকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে, মবের বিচার নেই এসব দিকে কোনো নজর নেই আসিফ নজরুলের।

জুলাই জঙ্গী আন্দোলন নিয়ে তাঁর দরদ।

২০২৫ সালের বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ নয়। এটি এখন ভয়, সহিংসতা ও বিশ্বাসঘাতকতার শিকলে আবদ্ধ দেশ।

মুহাম্মদ ইউনূসের অবৈধ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে স্বাধীনতার অঙ্গীকার রূপ নিয়েছে নির্যাতনের এক দুঃস্বপ্নে। মানবাধিকার শুধু লঙ্ঘিতই হচ্ছে না, বরং ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আইন উপদেষ্টার খবর নেই। তিনি চিরঘুমে।

সাংবাদিকদের অপরাধীর মতো ধরা হচ্ছে, অ্যাক্টিভিস্টদের রাষ্ট্রের শত্রু বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে, আর সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে—কারণ এখন ন্যায়বিচার নির্ধারণ করছে জনতা ও উন্মত্ত গোষ্ঠী।

মানবাধিকার কি মুহাম্মদ ইউনূসের শাসনে হুমকির মুখে নাকি আসিফের?

যে প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণকে রক্ষা করার জন্য ছিল, সেগুলো ভেঙে পড়েছে। আদালত জনতার চাপে নতি স্বীকার করছে।

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-৩ গঠন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে ট্রাইব্যুনালের নতুন ভবনের মেরামত কাজ পরিদর্শন করে এই কথা জানিয়েছেন তিনি।

আইন উপদেষ্টা জানান, এই মাসেই নতুন ভবনে স্থানান্তর হচ্ছে ট্রাইব্যুনাল-২।

তিনি বলেন, সরকার জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হবে।

আসিফ নজরুল বলেন, প্রয়োজনে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার কার্যক্রম আরও দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমান ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট সরকার।

গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ হবে বলেন আইন উপদেষ্টা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *