ঝিনাইদহ: ভয়াবহ অবস্থা দেশে। অন্তর্বর্তী সরকারের বদান্যতায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা ৫ আগস্টের পর ফুলেফেঁপে উঠেছে।
জাতির পিতা এবং মুক্তিযুদ্ধের নাম নিশানা মুছে ফেলার জন্য তো চেয়ারে বসেছে এই সরকার।
ঝিনাইদহে শেখ মুজিবের ‘এক তর্জনী’ স্তম্ভ গুঁড়িয়ে দিয়েছে ৭১ বিরোধী রাজাকারের দল। যদিও তাদের নাম দেয়া হচ্ছে ছাত্র-জনতা। তবে ছাত্র জনতা এইসব অপকর্ম করবে না। জুলাই দাঙ্গায় যারা করেওছিলো, তারা তওবা করে ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে বুলডোজার দিয়ে স্তম্ভটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের স্বাধীনতা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সকাল ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
পরে শহরের শহিদ মিনার সংলগ্ন স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এক তর্জনী’ স্তম্ভ গুঁড়িয়ে দেন এই নেতাকর্মীরা। বুলডেজার দিয়ে স্তম্ভটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এই হচ্ছে সরাসরি চোখের সামনে দেশদ্রোহীতা। অবশ্য তাদের কোনো শাস্তি নেই।
এর আগে চব্বিশে জুলাই আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট ‘এক তর্জনী’ স্তম্ভটি ভাঙচুর করা হয়েছিলো। স্তম্ভটির কিছু অংশ বেঁচে গিয়েছিলো। প্রতিহিংসায় সেই অবশিষ্ট অংশ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঝিনাইদহের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সাইদুর রহমান বলেছেন, ছাত্র জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে বাকশালের জনক শেখ মুজিবের স্তম্ভ গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
