ঢাকা: মুখে গামছা বেঁধে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নিজ বাস ভবনে গতরাত ১২ টার পর হামলা করে জঙ্গীরা। এটাই ইউনূসের বাংলাদেশ, এভাবেই চলছে দেশ।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আমার বাড়ি ভেঙেছে আরো ভাঙুক। বঙ্গবন্ধুর ৩২ নাম্বার বাড়িতে যখন গিয়েছিলাম, তখন আমার গাড়ি ভেঙেছিল।
আরো ভেঙে যদি দেশে শান্তি স্থাপিত হয়, দেশের কল্যাণ হয়, আমি সব সময়ই রাজি আছি।
এদিন, রবিবার দুপুরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথাগুলো বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমার বাড়িতে গত রাতে হামলা করেছে। কারা করেছে আমরা জানি না। ১০ থেকে ১২ জন লোক ঢিল ছুড়েছে, গাড়ি ভেঙেছে। আমি মামলা করবো।
তিনি বলেন, কোটা বিরোধী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পরে আমরা এই স্বৈরাচারী মনোভাব আশা করেনি। আওয়ামী লীগ যদি স্বৈরশাসক হয় তাহলে আজকের কর্মকাণ্ড কি বলে অবহিত করবো।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, শেখ হাসিনার সাথে ১৬ বছর রাতদিন সংগ্রাম করেছি। আওয়ামী লীগ আমাদের বহু প্রোগ্রাম করতে দেয়নি। তারপরেও যদি সবাইকে আওয়ামী লীগের দোসর বানানো হয়, তাহলে তো আমি মনে করবো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ব্যর্থ ও ধ্বংস করার জন্য এ ষড়যন্ত্র কিনা?
তিনি আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয় দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য জাতীয় ও আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ খুঁজছে। সেই সুযোগ অন্তবর্তীকালীন সরকার দিচ্ছে কি না আমি ঠিক বলতে পারবো না। আমার বাড়ি যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে সাধারণ গরীব দুঃখী মানুষের নিরাপদ কেমন করে হয়।
তিনি বলেন, আমি এই সরকারকে সরে আসতে বলবো। আমার বাড়ির উপরে হামলার মধ্যে দিয়ে এই চোরাগুপ্তা হামলা বন্ধ করা হোক সরকারের কাছে নিবেদন করছি। দেশবাসীর কাছে নিবেদন আপনারা জাগ্রত হোন ও রুখে দাঁড়ান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মঞ্চ ৭১ এর আলোচনা সভায় আলোচক ও শ্রোতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু মবদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।এতে আইনের ব্যত্তয় ঘটেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি আওয়ামী লীগ করিনা । আমি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানীত করতে চাই। স্লোগান দেয়া হচ্ছে জয় বাংলা থাকবেনা। জয় বাংলা চলবেনা। জয় বাংলা থাকবেনা বা চলবেনা দেশের মানুষ সেটা দেখবে, বিচার করবে।