ঢাকা: আমেরিকার দালাল ইউনূস! আমেরিকা এখন হ্যাঁ বললে হ্যাঁ, না বললে না!
তিন টাকা বাড়িয়ে হৈচৈ তুলে আমেরিকার কাছে দেশ বিক্রি করে এক টাকা কমানোর নাম ইউনূস!
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য প্রস্তাবিত তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ বাস্তবায়নের নামে দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।
যে কোনো উপায়ে ফাঁকি দিয়ে আমেরিকার লেজুরবৃত্তি করতে লেগে গিয়েছেন ইউনূস।
রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রস্তাবিত ‘মানবিক করিডোর’ এখন আর কেবল একটি ত্রাণ কার্যক্রম নয়—এটি হয়ে উঠেছে একটি বহুমাত্রিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক টুল।
যাতে সহায়তা দিচ্ছেন ইউনূস। অভ্যন্তরীণ রাজনীতির আড়ালে আছে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর প্রভাব।
রোহিঙ্গাদের সমস্যা বাংলাদেশকে উল্টো বিপদে ফেলেছে। রোহিঙ্গারা অত্যাচারিত এই বিষয়টি নতুন করে মশলা দেয়ার ব্যাপারটি সন্দেহজনক ঠেকছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর চরম নিপীড়ন চালাচ্ছে দেশটির জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আশা তো নেইই উল্টো সহানুভূতির বিষয়টি গভীর হচ্ছে। ইউনূস আসার পর বাংলাদেশের লাভ বলতে আর কিছু নেই।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, রাখাইন রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা দখলের পর আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ, জমি দখল, ইচ্ছামতো আটক, জোরপূর্বক শ্রম ও নিয়োগসহ নানা ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া পরিচালক ইলাইন পিয়ারসন বলেন, আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মতোই নিপীড়নমূলক নীতি অনুসরণ করছে। এটি বন্ধ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলতে হবে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষায় আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরাকান আর্মি ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে রোহিঙ্গারা যেন আর নিপীড়নের শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
সব কথার অন্তরালে রয়ে গেল মানবিক করিডোরের বিষয়টি।