ঢাকা: কারাগারে যে পরিমাণ আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা করা হচ্ছে তা নিয়ে কোনো প্রচারণা নেই।
এমেনেস্টি সহ মানবাধিকার সংস্থা গুলো চুপ৷ এই মানবতা লঙ্ঘন, গুম, খুন সেনার চোখে পড়ে না। কারণ ষড়যন্ত্র।
ইউনূসের এই ১১ মাসে পুরো ম্যাজিক দেখে ফেলল দেশবাসী। প্রতিদিন ধর্ষণ হচ্ছে, গুম হচ্ছে, খুন হচ্ছে! নাহ! এগুলোর খোঁজ খবর বা মুখে টু শব্দ করে না সেনাসদর।
এবার গুমের সঙ্গে কোনো সেনাসদস্যের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সেনাসদর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সেনাসদরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সামরিক অপারেশনস পরিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এই কথা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সদস্য ডেপুটেশনে (প্রেষণে) যেসব সংস্থায় থাকে, এই সংস্থাগুলো আমাদের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।
কিছু সেনাসদস্য যারা ডেপুটেশনে ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ এসেছে। তাদের বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। এই তদন্তে যদি তাদের বিরুদ্ধে গুমের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জানানো হয় মবের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী। কিন্তু বাস্তবে কি আমরা তাই দেখতে পাচ্ছি?
চট্টগ্রামের পটিয়ার ঘটনা সম্পর্কে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, পটিয়ার ঘটনায় সেনাবাহিনী দ্রুত সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। কক্সবাজার–চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ ছিল। সেনাবাহিনী গিয়ে সেই অবরোধ মুক্ত করে জনদুর্ভোগ দ্রুত কমিয়ে আনে। ভবিষ্যতে এটি অব্যাহত থাকবে।
সব নিয়ন্ত্রণ হলো, ভালো বিষয়। কিন্তু তথাকথিত বৈষম্যবিরোধীর বিক্ষোভে মাথা নত করে যে ওসিকে প্রত্যাহার করানো হলো, সেটা কি ঠেকাতে পেরেছে সেনাবাহিনী?