চট্টগ্রাম: পার্বত্য অঞ্চলের রাজনৈতিক দল— ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী।
আইএসপিআর বলছে, “ভোর ৪টা থেকে ইউপিডিএফের (মূল) বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়।”
রাঙামাটির মৌনপাড়ায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাহাড়ি সন্ত্রাসী ইউপিডিএফ (প্রসীত)-এর সশস্ত্র গোলাগুলি হয়েছে।
“সুদর্শন” নামের এক ইউপিডিএফ কমান্ডার সেনাদের মোবাইলে হুমকি দিলে তাৎক্ষণিকভাবে এলাকা ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী।
ঘেরাওয়ের সময় সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে। গোলাগুলিতে এক সেনা সদস্য আহত হন, তবে আটক হয় ৩ ইউপিডিএফ সদস্য।
তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি সাবমেশিনগান, ১২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৪৬ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ধারালো অস্ত্র ও মোবাইল ফোন।
আটককৃত ইউপিডিএফ সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, অস্ত্র ব্যবসা, ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে আসছিলো।
মুহাম্মদ ইউনূসের আমলে পাহাড়ের অবস্থা শোচনীয়। ইউপিডিএফ-এর মতো সন্ত্রাসীরাও সেনাবাহিনীকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার দুঃসাহস করছে।
সন্ত্রাসীদের প্রতি ইউনূসের নরম ভাব। এই সরকার কোনো ব্যবস্থা হাতে নেবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও দায়িত্বশীল মহলের এইসব বিষয়ে দ্রুত শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত কিন্তু কবে নেবে?
এখন তো , পাহাড়ে জুড়ে আতঙ্কে বসবাস করছে পাহাড়ি স্থানীয় জনগণ।
উল্লেখযোগ্য যে, ইউনুস সরকারের সাথে কুকি চিন, ইউপিডিএফ ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিষয়ে ‘নরম’ নীতি সরকার তাদের জাতীয় ঐক্যমত কমিশন গঠনের নামে তাদের পরোক্ষ সহায়তা করছে।