ঢাকা: বাংলাদেশকে জঙ্গিদের অভয়ারণ্য বানিয়ে পুনরায় ভিক্ষুক রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টের কথিত অভ্যুত্থানের পর বেআইনিভাবে ক্ষমতায় বসা গোষ্ঠী আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক ও শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার প্রহসন সাজাচ্ছে। এগুলো খুব দুঃখজনক।
বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩ বিকৃত করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার যে নীলনকশা চলছে।
ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনাল এর নামে জাতির সঙ্গে প্রহসন করছে। আসলে বাংলাদেশের স্বাধীন জনগণ এগুলো কখনো ভাবেওনি যে তাদের সাথে এমন হতে পারে।
অবৈধ দখলদার ইউনুস গং ক্ষমতা দখল করেই একের পর এক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিচ্ছে যা নজীরবিহীন। এসব ভুয়া মামলা, অত্যাচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশী-বিদেশী মানবাধিকার সংস্থা গুলো।
এমন বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি অভিযোগ আমলে নেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করে আগামী ১৪ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন, সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ দেয়।
অন্য তিন আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি সদর উদ্দিন খান, দলটির জেলা সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা।
এছাড়া কুষ্টিয়া শহরে ছয়জনকে হত্যার অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে।
১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়নের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
এই আইন ছিল মূলত ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার জন্য। এই আইন কোনও সময়েই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন, কিংবা গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতের হাতিয়ার ছিল না।
কিন্তু আজ দেখা যাচ্ছে ঠিক তার উল্টো। রাজনৈতিক নাটক চলছে।
