ঢাকা: আসিফ মাহমুদ তথা টোকাই দলের কাছে অবশ্যই নৌকা অভিশপ্ত হবে কারণ এই নৌকা মার্কার কারণে মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন হয়েছিলো আর এই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিলো। নৌকা তো পাকিস্তানিদের কাছে অভিশপ্ত মার্কা হবেই।

নৌকা মার্কা বহিষ্কার করার, বা মুছে ফেলার এখতিয়ার বাংলাদেশের তথা বাংলাদেশের কোন মানুষের নাই।

এটা ভাষা আন্দোলন ১৯৫২ সালের প্রতীক, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের প্রতীক, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের প্রতীক, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতীক, এটা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতীক, এটা স্বাধীনতা স্বপক্ষের প্রতীক।

এনসিপি টোকাই আজ আছে কাল নেই। আওয়ামী লীগ তা নয়। আওয়ামী লীগ হয়েই জন্ম হয় একেকটি প্রাণ।

নৌকা নিয়ে তিনি ঠিক কী বললেন একবার দেখি:

আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকাকে কেন আবার শিডিউলভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।

ওই পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘অভিশপ্ত “নৌকা” মার্কাটাকে আপনারা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন?

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই গণ–অভ্যুত্থানকে আপনারা জাস্ট বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন। কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এবং কাদের দেওয়ার জন্য এই মার্কা রাখছেন আপনারা?

পরাজিতদের স্বপ্নের রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে তাদের মার্কা ফিরিয়ে দিতে চান? বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রশ্ন রইল।’

পোস্টের মন্তব্যের ঘরে আসিফ লেখেন, ‘আমি সরকারে বসে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্ন করছি। নির্বাচন কমিশন সরকারি প্রতিষ্ঠান না। নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করার এখতিয়ার সরকারের একজন উপদেষ্টার নাই। রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে প্রশ্ন করছি।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *