গোপালগঞ্জ: জুলাই পদযাত্রাকে জঙ্গী দল মার্চ টু গোপালগঞ্জ এ নিয়ে গেলো! সকাল- সকাল পুলিশের গাড়ি বহরে আগুন ও রাস্তাঘাট বন্ধ হবার পরেও বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে গোপালগঞ্জ গেলো তাঁরা।
গোপালগঞ্জে আজকের যে ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, এর পুরো দায়ভার টোকাই দল এনসিপির।
আজকে সেনাবাহিনী, পুলিশের যেরকম ভূমিকা দেখা গেলো তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ১৯৭১ আর ২০২৫ — সালে পার্থক্য, কিন্তু বাকি সব এক।
সেনাবাহিনী গলায় পা দিয়ে ছেঁচছে মানুষের! এ কী দশা? পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে আমরা দেখেছিলাম এই ভূমিকায়!
পূর্বে যখন কোন সভা- সমাবেশস্থলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরী হতো, প্রশাসন সে যায়গায় আগেভাগেই ১৪৪ ধারা জারি করে রাখতো।
তবে আজ ভিন্নতা দেখা গেলো। সমাবেশ করলো, পরিবেশ উত্তপ্ত করলো, তারপর ১৪৪ ধারা জারি করলো প্রশাসন।শহরের পৌর পার্ক ও লঞ্চঘাট এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
পুলিশকে তার সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও টোকাই এনসিপি নেতাকর্মীদের দাবি পুলিশ শুরু থেকেই নীরব ভূমিকা পালন করছে।
গোপালগঞ্জে কমপক্ষে ৭ জন সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।
আরও কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে গুলিতে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে, সেনাবাহিনীর গুলিতে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাহসী কর্মী দীপ্ত সাহা শহীদ হয়েছেন।
রাষ্ট্রযন্ত্রের রক্তচক্ষু আজ আওয়ামী লীগের রক্তে হাত রাঙাচ্ছে। এই কী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী?
সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে গিয়ে দীপ্তকে জীবন দিতে হলো।
সেনাবাহিনীর কাছে দেশবাসীর প্রশ্ন, আজ কেন দেশের জনগণের পক্ষে অবস্থান নিলেন না?
দেশের জনগণ যখন বঙ্গবন্ধুর সমাধি রক্ষায় গোপালগঞ্জের রাজপথে নেমে আসলো, তখন কেন জনগণের উপর গুলি করলেন, লাঠিচার্জ করলেন?
প্রশ্ন আসছে, ২০২৪ সালের পাঁচ আগস্ট জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র হলো, তখন তো স্বাধীনতা বিরোধী, সন্ত্রাসীদেরকে গুলি ছোঁড়েননি?