চট্টগ্রাম: বাংলাদেশে নারীদের প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ এবং যৌন হয়রানির ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। বন্ধ নেই এইসব অপকর্মের।
যেহেতু দোষীর সেভাবে কোনো শাস্তি হয় না, ফলে দেখে দেখেই শিখছে সমাজ।
২০২৫ সালের প্রথম দুই মাসে প্রায় ৪০০ জন নারী ও শিশু এমন ভয়াবহ ঘটনার শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে ষাট বছরের বৃদ্ধাও রয়েছে।
বাচ্চা, বৃদ্ধা, গর্ভবতী কেউ বাদ নেই। নৃশংসতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে দেশে। ৫ আগস্টের পর এইসব ঘটনা আরো বাড়ছে।
এবার চট্টগ্রামে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হলেন ২৫ বছরের এক যুবতী।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় চাকরির ইন্টারভিউ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক যুবতী অটোরিকশা চালকসহ এক যুবকের সংঘবদ্ধ ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন।
এ সময় চলন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে কোনোভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাফ দিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন তিনি। এতে ওই যুবতী মুখ, নাক ও দাঁতে আঘাত পেয়েছেন ।
বুধবার উপজেলার বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
তরুণী অভিযোগ করছেন, যে গন্তব্যে যাওয়ার কথা সেখানে না গিয়ে চালক অটোরিকশাটি একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে জানায়, চাকা নষ্ট হয়ে গেছে।
এরপর চালক এবং আরেক যুবক মিলে যুবতীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় তিনি চলন্ত গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়েন।
ঘটনায় ভুক্তভোগী আনোয়ারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তবে অভিযোগ দায়ের করলেই কী, এমন কত হাজার হাজার অভিযোগ জমা পড়ে থাকে। সরকার, প্রশাসন নীরব।
এই নীরবতা সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে দিনেদিনে। আজকাল নারীরা পথেঘাটে লাঞ্ছিত, নির্যাতিত।
আইনের প্রতি অপরাধীদের ভয় না থাকা এবং ন্যায়বিচারের অভাবের ফলে এসব ঘটছে।