ঢাকা: যে কোনো প্রকারে শেখ হাসিনাকে শাস্তি দিতেই হবে। এটাই ইউনূস- জামাত জোটের উদ্দেশ্য। তাই এবার বানানো হলো রাজসাক্ষী।

রাজসাক্ষী তখনই আনা হয় যখন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য ও প্রমাণ থাকে না।

রাজসাক্ষী হবার জন্য আব্দুল মামুনকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখা হতে পারে, অথবা তাঁর শাস্তি কম হতে পারে।

যে রাজসাক্ষী হয়, তাকে ক্ষমা করার প্রস্তাব দিয়ে রাজসাক্ষী বানানো হয়। নাহলে একজন অভিযুক্তকে কেন ক্ষমার প্রস্তাবে রাজসাক্ষী বানানো হবে?

এবং স্বাভাবিকভাবে এই রাজসাক্ষীর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকে এবং তার সাক্ষ্যে বেশিরভাগ সময় যথাযথ প্রমাণের ঘাটতি থাকে।

সুতরাং কেউ রাজসাক্ষী হোক, না হোক; এই ইউনূস ও রাজাকারদের ক্যাঙ্গারু কোর্টে মিডিয়া ট্রায়ালের প্রসিকিউশন রাজসাক্ষীর আলাপ আনা মানেই তাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ ও সাক্ষ্য নেই।

একের পর এক ছক কষছে রাজাকার বাহিনী।

স্বাধীনতা বিরোধী তাজুল গ্যাং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে রাজসাক্ষী বানিয়েছে।

দখলদার ইউনুস গ্যাং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শাস্তি দেয়ার জন্য কোনো ফন্দিফিকিরই কাজ করছে না। যে কৌশল বের করে সেটা বুমেরাং হয়ে তাদেরকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

বিবিসির ষড়যন্ত্র ও ফাঁস হয়ে গেছে।

তারা ডকুমেন্টারিতে বিবিসি দেখাতে চাইলো শেখ হাসিনা দোষী। শেখ হাসিনা অপরাধী। বিবিসি তাজুল গ্যাংয়ের চাওয়া অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হত্যার নির্দেশদাতা বানিয়ে দিল।

বিবিসি ডকুমেন্টারিও ফেল মেরেছে।

এবার পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে রাজসাক্ষী বানিয়ে নিয়ে এসেছে।

তারা বুঝে গেছে যে, বৈধ পথে শেখ হাসিনাকে শাস্তি দেয়া অসম্ভব। কারণ তিনি কোনো অপরাধ করেননি।

১১ মাস ধরে ইউনুসের জেলে বন্দী পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে অমানুষিক অত্যাচার, নির্যাতন করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। রাজসাক্ষী হতে রাজি না হলে হত্যা করা হবে এমন হুমকি দিয়ে মামুনকে রাজসাক্ষী হিসেবে রাজি করিয়েছে তাজুল গ্যাং।

এই ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

যেই মামলায় সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রাজসাক্ষী করা হচ্ছে সেই মামলায় আসামী ৩জন এবং তিনিই একমাত্র উপস্থিত।

আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রাজসাক্ষী করে এই অবৈধ আইসিটি ট্রাইব্যুনাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দোষী প্রমাণ করতে চায়।

মূলত এই ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন যখন কোনো ধরনের তথ্য-প্রমাণ উদ্ধার করে ব্যর্থ হয়েছে তখনই তারা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রাজসাক্ষী বানানোর পরিকল্পনা করেছে।

এটা থেকে স্পষ্ট যে, প্রসিকিউশন এতোদিন তদন্ত করে কোনো তথ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেনি এবং যার ফলে রাজসাক্ষীর উপর নির্ভর করছে।

যেসব মামলায় অপরাধ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণের অভাব থাকে সেসব মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ এ ধরনের চাল দেয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো অপরাধ করেননি। সুতরাং তার বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়েই প্রসিকিউশন চাপ দিয়ে এটা করছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *