ঢাকা: চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্য পৌঁছেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (১০ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডন পৌঁছান।
কিন্তু একাত্তর বিরোধীদের জায়গা কোথাও হবে না। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, তারপর দেশকে উচ্ছন্নে নেয়া এর সব কিছুর মূলে মুহাম্মদ ইউনূস।
এখন তিনি নির্বাচনের নামে তামাশা জুড়েছেন। মনে করেছেন, দেশের জনগণ কোনো ষড়যন্ত্রই বোঝে না।
লণ্ডনে এবার বিপদের মুখে পড়লেন ইউনূস। তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান উঠলো।
যুক্তরাজ্যে সফররত প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের লন্ডনের হোটেল ডরচেস্টারের সামনে মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পার্ক লেইনের অভিজাত হোটেলের সামনের সড়কে চলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ।
উল্লেখযোগ্য যে, মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে অধ্যাপক ইউনূস হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান। তারপর ডরচেস্টার হোটেলে ওঠেন তিনি। পুরো সফরকাল তিনি সেখানেই অবস্থান করবেন।
সেখানেও শান্তি নেই তাঁর। আসলে বাংলাদেশের যা অবস্থা করেছেন তিনি, তাতে জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে।
হোটেলের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের দাবি দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও প্রবাসী বাঙালিরাও এই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছেন।
বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিলো ড. ইউনুসের ছবি সম্বলিত বিভিন ব্যঙ্গাত্মক ফেস্টুন, ব্যানার।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান ,ড. ইউনূস যেসব জায়গায় মিটিং করবেন, সেখানে বিক্ষোভ করবেন তারা।
এ বিক্ষোভের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বর্তমান সরকারকে কড়া বার্তা দিতে চায়। একই সঙ্গে বিদেশে দলটির শক্তি জানান দিতে চায়।
মিছিলের স্লোগান ছিল ইউনুস তুই রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়।সুচি গেছে যেই পথে ইউনুস যাবে সেই পথে।
এরপরে ব্রিটিশ পুলিশের কড়া পাহারায় ইউনুস পিছনের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়।
অবৈধ ভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলদার, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ইউনুসের সফর গণতন্ত্রের চেতনা ও ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতার সাথে সাংঘর্ষিক।
মূলত, ইউনুস মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধ্বংসকারী , ইউনুস গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ধ্বংসকারী ।