ঢাকা: বাংলাদেশের সামনে ঘোর বিপদ। আমেরিকাকে সন্তুষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ, শেষ পর্যন্ত সে গুড়েও বালি পড়েছে।

ইউনুসের ভাগ্যের খেলায় শেষ পেরেকটি মেরে দিয়েছেন স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প’।

আসল খেলা এখনো বাকি! আর সেইদিকে নজর না দিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাঙা এইসব জঙ্গী কার্যকলাপে যুক্ত হয়ে আছেন দখলদার ইউনূস।

আওয়ামী লীগ এই জঙ্গী বাহিনীর সহ্য হয় না। কারণ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহন করে।

আর এই মুক্তিযুদ্ধ পাকিস্তানপন্থীদের চোখের বিষ।

আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো দল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখেনি।

অন্য কোনো রাজনৈতিক দল এসব অন্যায়-কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো দূরের কথা, মুখ পর্যন্ত খুলছে না।

প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশের মানুষের আত্মা কি একেবারে নিস্তেজ হয়ে গেছে? আজ তারা এসব দেখে না দেখার ভান করছে, কিন্তু সেই দিন বেশি দূরে নয়—যেদিন এই আগুন তাদের ঘরেও পৌঁছাবে।

চব্বিশ প্রমাণ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের দল।

আর সেই দলকে ভাঙা, কার্যালয় ভাঙচুর চলছে।

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ধ্বংসস্তূপের ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’।

জুলাই শহীদ তো নয়, জুলাই আগস্টে যারা মারা গিয়েছে তারা এক একজন প্রশিক্ষিত জঙ্গী।

আগামী ৫ আগস্ট তো তাদের বছর পূর্তি। শেখ হাসিনার বিদায়ের দিন। ফলে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রাথমিক কাজ।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোহরাব হোসেন বলেন, দেশব্যাপী সরকারি উদ্যোগে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ করা হচ্ছে।

এই কথাগুলো বলতে তাদের একটুও বাধে না। অবলীলায় বলে ফেলেন।

বলা হচ্ছে, আগামী ৫ আগস্ট সরকারি উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে নবনির্মিত জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের এই বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হবে।

২০২৪ সালের ৪ অগাস্ট ছাত্র জনতা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক ভাঙচুর করে।

মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পরিয়ে, জাতির‌ পিতার ভাস্কর্যে প্রস্রাব করে তারা এখন জঙ্গী আন্দোলনে মারা যাওয়া কথাগুলো সন্ত্রাসী, শিবিরের চরণে ফুল অর্পণ করবে!

এই হলো সোনার বাংলাদেশ!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *