ঢাকা: শেখ হাসিনাকে ষড়যন্ত্রমূলক ক্ষমতাচ্যুত করে মুহাম্মদ ইউনূস গদিতে বসার পর বাংলাদেশ রঙ্গমঞ্চে পরিণত হয়েছে।

“সালেম টমেটো ট্রায়াল” এর আদলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রহসন বিচারের নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে বাংলাদেশে।

আমেরিকার জনপ্রিয় সবজি টমোটোর বিচারের জন্য যেমন টমেটো ট্রায়াল গঠিত হয়েছিল ঠিক তেমনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক বিচারের আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশে ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিলো।

আর আজকের দিনে অত্যন্ত হাস্যকরভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম’স ট্রাইব্যুনাল এর অধীনে শেখ হাসিনার বিচারের আয়োজন করছে।

এবং ৫ আগস্ট দেশছাড়া করা হয়েছে ত্রিশ লক্ষ শহীদের নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে বাংলাদেশের পাঁচবারের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

তাঁর নামে চলছে হত্যা মামলা।

আওয়ামী লীগ শনিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) কর্তৃক বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরু করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

এবং একে মুহাম্মদ ইউনূসের “অনির্বাচিত এবং অগণতান্ত্রিক” শাসনামলে পরিচালিত “দেখানো বিচার” বলে অভিহিত করেছে।

এক কঠোর ভাষায় বিবৃতিতে দল বলেছে, ” কার্যক্রম শুরু হওয়া অনির্বাচিত, অগণতান্ত্রিক নেতা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের শাসনামলে বাংলাদেশ যে উদ্বেগজনক অবস্থার মধ্যে পড়ে আছে তার আরেকবার স্মরণ করিয়ে দেয়।”

আওয়ামী লীগের মতে, ইউনূস ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে, ট্রাইব্যুনাল শুধু আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার করেছে। অথচ দেশে যে সাংবাদিক, ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ হচ্ছে সেগুলো তো উপেক্ষা করেছে।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সবটাই মিথ্যা।

দলটি চলমান বিচারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে, উল্লেখ করেছে যে বর্তমান প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনাকে জনসমক্ষে দোষী ঘোষণা করেছেন – যা একটি সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার সম্ভাবনাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।

“এটি কোনও এখতিয়ারেই সুষ্ঠু বিচার হতে পারে না এবং হবেও না,” দল বলেছে।

হাসিনার পাশাপাশি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং প্রাক্তন পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও এই মামলায় সহ-অভিযুক্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ করা জরুরি, দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ২০১০ সালে জার্মানির নূরেমবার্গ ট্রায়ালের আদলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠন করে ২০১৩ সালে তথা স্বাধীনতার ৪২ বছর পর একজন একজন করে রাজাকারের ফাঁসি কার্যকর করার সাহসী উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *