রাজশাহী: এই প্রতিবেদন লিখতে গিয়েও হাত কেঁপে উঠছে। এই নিষ্পাপ একটা শিশু কার গাফিলতিতে চলে গেলো এইভাবে?
অশ্রুসিক্ত বিদায়, সাজিদের জানাজায় হাজার হাজার মানুষের ঢল। সবাই কাঁদছে ফুটফুটে বাচ্চাটির জন্য। বাবার কাঁধে চড়ে হাজারো মানুষকে কাঁদিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন শিশু সাজিদ।
মাটির গভীর গর্তে দীর্ঘ ৩২ ঘণ্টা জীবনের জন্য যুদ্ধ করেছিল ছোট্ট সাজিদ। হয়তো ৩২ ঘন্টা নয়, তার আগেই মারা গিয়েছিলো সে।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট গ্রামে আজ শুক্রবার সকাল ১০ টা ৩৮ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই বছরের শিশু সাজিদের জানাজা ও দাফন।
আদরের সন্তানকে শেষ বিদায় জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন হাজারো মানুষ, স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে তানোরের আকাশ-বাতাস।
কী দুঃখজনক ঘটনা!
শিশু সাজিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই আশপাশের গ্রাম ও ইউনিয়ন থেকে মানুষ শেষবারের মতো তাকে দেখতে ভিড় জমান। কাতারে কাতারে মানুষ আসেন।
সবার মনে অবুঝ শিশুটিকে বাঁচাতে না পারার আক্ষেপ।
সাজিদের মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন এবং বিলাপ করে বলছিলেন, “আমার মানিককে তোমরা অন্ধকারে রেখে এসো না।”
শিশু সাজিদ চলে গেল, কিন্তু তার এই মর্মান্তিক মৃত্যু পুরো দেশকে কাঁদিয়ে গেল এবং রেখে গেল এক বড় সতর্কবার্তা। আর আঙুল তুলে গেলো দুর্নীতিবাজদের দিকে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে কোয়েলহাট গ্রামের শিশু সাজিদ গভীর গর্তে পড়ে যায়।
৩২/৩৩ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। পরবর্তীতে তানোর সরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
