ঢাকা: আল-বদর উদ্দিন ওমরের বিদায়ে রাজাকার পাড়ায় ব্যাপক কান্নাকাটি শুরু হয়ে গেছে।

ব্যক্তি জীবনে ওমর রাজাকারদের নয়নমণি হয়ে গিয়েছিলেন শুধুমাত্র শেখ মুজিব অবমাননার কারণে। তিনি হয়েছেন রাজাকারদের আমির।

তিনি বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিব প্রকৃতপক্ষে ফাদার অব দ্য নেশন না হলেও তাকে ফাদার অব রুলিং ক্লাস বলা যায়। কারণ ওই শ্রেণিকে শেখ মুজিবই তৈরি করেছে’!

বদরুদ্দীন উমর অপমান করে বলেছিলেন, এই স্বাধীনতা আন্দোলনকে প্রথম থেকে এমনভাবে বলা হয়েছে যে, শেখ মুজিবই এ যুদ্ধের মহানায়ক।

পরে তো শেখ হাসিনা এই স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা এমনভাবে বলত যেন, এটা তাদের পারিবারিক ব্যাপার, তাদের পরিবারই নাকি এই যুদ্ধ পরিচালনা করেছে, ইতিহাসের এই যে আবর্জনা এখন পরিষ্কারের সময় হয়েছে।

উমর বলেছিলেন, সেখানে পুরো যুদ্ধের সময় নয় মাস জেলে ছিলেন, সেখানে তাকে কোনো খবরের কাগজ দেয়া হয়নি, রেডিও টেলিভিশনের কোনো খবর তিনি দেখতে পারেননি। তিনি যুদ্ধের কোনো খবরই জানতে পারেননি।

কারও সাথে তার সাক্ষাৎ হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা বা নেতৃত্ব দেয়া তো দূরের কথা, তিনি জানতেনই না যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে।

দেখা গেছে, বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বদরুদ্দীন উমর (৯৪) আজ রবিবার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বদরুদ্দীন উমর ছিলেন আমাদের মুক্তবুদ্ধি ও প্রগতি–সংগ্রামের এক উজ্জ্বল বাতিঘর। ভাষা আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা, গবেষণা, ঔপনিবেশিক মানসিকতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ এবং সমাজতান্ত্রিক দর্শনের প্রতি তাঁর অবিচল নিষ্ঠা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *