চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্তত চারজন আদিবাসীকে হত্যা করেছে এবং চল্লিশেরও বেশি মানুষকে আহত করেছে। এই অবস্থায় ড. ইউনুসের সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাসের আহ্বান জানিয়েছে আরআরএজি (RRAG)।

আজ রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অন্তত চারজন আদিবাসীকে হত্যা করেছে এবং চল্লিশজনেরও বেশি মানুষকে আহত করেছে।

এরপর সেনারা বেআইনি বাঙালি মুসলিম সেটলারদের খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা এলাকায় আদিবাসীদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ করে দেয়।

নিহত ও আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই মারমা/মগ সম্প্রদায়ের মানুষ।

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খাগড়াছড়ি জেলার সিঙ্গিনালা গ্রামে অষ্টম শ্রেণির এক মারমা কিশোরীকে অবৈধ সেটলাররা সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করার পর থেকে “জুম্ম ছাত্র জনতা” ব্যানারে আদিবাসীরা ন্যায়বিচারের দাবিতে টানা পাঁচ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।

কিন্তু অপরাধীদের গ্রেফতার না হওয়ায় এই প্রতিবাদ আরও ছড়িয়ে পড়ে।

“ধর্ষকদের গ্রেফতার না করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উল্টো আদিবাসী প্রতিবাদকারীদের অধিকার লঙ্ঘন করছে।

আজ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই হত্যাযজ্ঞ এবং পরবর্তীতে অবৈধ মুসলিম সেটলারদের গুইমারার রামসু বাজার এলাকায় আদিবাসীদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া প্রমাণ করে যে এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত।”

এক বিবৃতিতে বলেন রাইটস অ্যান্ড রিস্কস অ্যানালাইসিস গ্রুপ (RRAG)-এর পরিচালক সুহাস চাকমা।

RRAG ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আহ্বান জানিয়েছে যাতে তিনি ড. মোহাম্মদ ইউনুসের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পরিচালিত এই পরিকল্পিত হামলার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেন এবং ড. ইউনুসের অনির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিম্নগামী করেন।

RRAG আরও জানিয়েছে, নিরীহ আদিবাসীদের হত্যাকাণ্ড বিষয়টি এই সপ্তাহে জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৬০তম অধিবেশনে উত্থাপন করা হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *