ঢাকা: দেশের মানুষ আর বিএনপি-জামাত সরকারের সেই জঙ্গি শাসনামলে ফিরে যেতে চায় না।
বাংলাদেশকে জঙ্গীদের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছিল খালেদা-তারেক রহমান।
২০০১ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তারেকের নির্দেশে ১৫০ জন আল কায়েদা জঙ্গী সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
এবং এখন তো পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের একপাতে ভাত খাওয়া।
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা এবং হত্যার পর তার নিথর দেহের উপর দাঁড়িয়ে খুনিদের উল্লাস করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এত বিভৎসতা হয়তো নতুন প্রজন্মের লোকজন দেখেনি। বিএনপির সেই আমল ফিরে এসেছে।
বীভৎস এই দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত দেশের মানুষ, ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা জাতি।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে।
নিহত মো. সোহাগ (৪৩) পেশায় একজন ভাঙারি ব্যবসায়ী ছিলেন।
কয়েকজন ব্যক্তি মিলে তাকে প্রকাশ্যে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
যখন তিনি মারা যান তখন বিএনপি যুবদলের জঙ্গীরা লাশ ঘিরে উল্লাসে মেতে ওঠে। এই হচ্ছে লাল স্বাধীনতা।
ধিক্কার দিচ্ছে দেশ।
হত্যার প্রতিবাদে নরসিংদীতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা।
মিছিলটি উপজেলা মোড় হয়ে কোর্ট রোড প্রদক্ষিণ করে জেলখানা মোড় প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় উপজেলা পরিষদ এলাকায় এসে শেষ হয়।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড পিপলস অব বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) নরসিংদী জেলার মুখ্য সংগঠক রুহুল আমিন ফয়সাল, নরসিংদী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ইউসুফ আহমেদ, রাকিবুল ইসলাম, মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
তবে মিছিল হলেও যেখানে দেশের শাসন ব্যবস্থা পচে গেছে, বিচারকরা হুমকিতে সেখানে আর কোনো বিচার হবার আশা নেই।