ময়মনসিংহ: ভারতের ঠেলায় এখন অন্তর্বর্তী সরকারের চাপ বেড়েছে। প্রমাণ ছাড়া আবোলতাবোল বলা শুরু করেছে ইউনূস সরকার। বলছে, ময়মনসিংহে যে বাড়ি ভাঙা হচ্ছে তার সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষদের কোনও সম্পর্ক নেই।

বৃহস্পতিবার আচমকা এমনটাই দাবি করল বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক। বিবৃতিতে ইউনুস প্রশাসন জানিয়েছে, ‘এই বাড়িটির সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষদের সম্পর্ক নেই। শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী নামে এক স্থানীয় জমিদার এটি তাঁর কর্মচারীদের জন্য নির্মাণ করেছিলেন।

হরিকিশোর রায় রোডে রায় পরিবারের একটি বাড়ি ছিল। দীর্ঘদিন আগেই তাঁরা সেটি বিক্রি করে দেন। সেই বাড়িটির আজ কোনও অস্তিত্ব নেই। এমন কোনও ভুয়ো তথ্য ছড়াবেন না যাতে সম্প্রীতি নষ্ট হয়।’

এবিষয়ে সত্যজিৎ-পুত্র পরিচালক সন্দীপ রায় বলেন, ‘মশুয়া গ্রামে আমাদের একটা বাড়ি ছিল। তবে সেখানে আমি কখনও যাইনি। বাবাও যাননি।

১৯৮৭ সালে সুকুমার রায়কে নিয়ে তথ্যচিত্র করার সময় ওখানে বাবা লোক পাঠিয়েছিলেন। পরে ছবিতে বাড়ির জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে খুবই মর্মাহত হন।

তাই সেটি তথ্যচিত্রে দেখানো হয়নি। এর বেশি কিছু জানা নেই।’

সম্প্রতি হরিকিশোর রায় রোডে প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো বাড়িটি হঠাৎ ভাঙা শুরু হয়। হিন্দুর অস্তিত্ব বিলীনের অপপ্রয়াস ছাড়া কিছুই নয় এগুলো।

স্থানীয় সাহিত্যিক মহল ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাঁরা দাবি করেন, ওই বাড়িতেই থাকতেন শিশু সাহিত্যের পথিকৃৎ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী।

পরবর্তী সময়ে বাড়িটি বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমির ময়মনসিংহ জেলা অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তবে সংস্কারের অভাবে বাড়িটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে।

এই অবস্থায় শিশু অ্যাকাডেমি তাদের অফিস অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায়। তারপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল বাড়িটি।

বাড়ি ভাঙার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে ভারত সরকার। বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক।

আসলে ময়মনসিংহের বাড়িটি নিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে সরকার।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *