ঢাকা: রাজাকারের উকিল, এখন চীফ প্রসিকিউটর। এটাই তো সন্দেহ জনক।

আদালতের রায়ে শেখ হাসিনার ফাঁসি হলেও সেই রায়কে কেউ বস্তুনিষ্ঠ মনে করবে না। জনগণ ট্রাইবুনাল মানবে না এইকথা জানিয়েই দিয়েছে।

এই পুরো বিচার প্রক্রিয়াটা করছে জামাত। বাদী পক্ষের উকিল জামাতের, আসামী পক্ষের উকিলও জামাতের।

শেখ হাসিনার উকিল নিয়োগ দিয়েছে সরকার যা জামাতেরই একজন। এরকম প্রক্রিয়ার বিচার কি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে? পুরো বিচার প্রক্রিয়া জামাত বিতর্কিত করে ফেলেছে। কাজেই রায়ে যা-ই হোক সেটা টিকবে না। এটা জনগণের কথা।

গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় আগামী ১৭ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই তারিখ নির্ধারণ করেন।

প্রসিকিউটর রাজাকার তাজুল ইসলাম এই মামলায় শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির আর্জি জানান। তিনি তো জানাবেন এটাই স্বাভাবিক।

গণঅভ্যুত্থানের পর ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ জমা পড়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায়। সংস্থাটি অভিযোগের তদন্ত শুরু করে।

তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১২ মে তদন্ত সংস্থা প্রধান প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়।

এর ভিত্তিতে ১ জুন ট্রাইব্যুনালে হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।

ওই দিন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নেন। এরপর ১০ জুলাই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *