ঢাকা: শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরিয়ে, শিক্ষকদের ঘাড় ধরে বরখাস্ত করে এখন নাকি শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়ানোর প্রয়োজন হয়েছে জঙ্গী সরকারের।
এবং সে কারণে ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ! আসলে এইগুলো সব অজুহাত।
বলা হচ্ছে, দেশব্যাপী কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা খাতে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ১৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
এই এক বছরে অবৈধ ইউনুস সরকারের শোষণে বাংলাদেশের ক্ষতির পরিমাণ আকাশছোঁয়া হয়েছে।
বাংলাদেশসহ পুরো পৃথিবীর মানুষ জানতে পেরেছে কিভাবে ইউনূসের অনুগত শোষকগোষ্ঠী বাংলাদেশকে লুট করছে।
এই যে ঋণ নিচ্ছে, তাতে দেশের বোঝা তো বাড়ছেই, তার উপর কতটুকু যে দেশের কল্যাণে লাগবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
দেশকে ডুবিয়ে টাকা খেয়ে পালাবে ইউনূস।
ইউনূসের বিভিন্ন হঠকারী মন্তব্যের কারণে ক্ষুব্ধ ভারত বাংলাদেশের উপর একধরনের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
যার ফলে দুই দেশের বাণিজ্য কমে গেছে ৪২%। বস্ত্রখাতে শিপমেন্ট সুবিধা বাতিলে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতি হবে বছরে প্রায় ৭৭০ মিলিয়ন ডলার।
এই এক বছরে প্রায় বিশ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার ছাড়াও মোট দেশজ উৎপাদন, জ্বালানি সংকট, বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি সহ নানা কারণে একটা বড় পরিমাণের ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
জুলাই চেতনার জন্য বাংলাদেশকে এর মূল্য চোকাতে হচ্ছে। মূল্য চুকানো মানে কী? ডুবে যাওয়া, ধ্বংস হওয়া।
বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে।
বন্যার নামে ১০০০ কোটি টাকার সরকারি ফান্ড, ১০০ কোটি টাকার আহমাদউল্লাহ হুজুরদের ফান্ড তৈরি করে লুট করে দেয়ার সুযোগ ইউনুসই করে দিয়েছে।
এইরকম আরো হাজার ক্ষতির ডাটা আছে।
এখন আবার এডিবির ঋণ।
পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য এ ঋণের বাৎসরিক সুদের হার ২ শতাংশ।
রোববার (০৩ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) কার্যালয়ে এডিবি’র সঙ্গে এ-সংক্রান্ত একটি ঋণচু্ক্তি সই করেছে সরকার।
চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবি’র পক্ষে সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিওং সই করেন বলে ইআরডি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ইআরডি জানায়, চার বছর মেয়াদী (২০২৫-২০২৯) ‘টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (টিভিইটি) টিচার্স ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রাম’ এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
এর মধ্যে ১৫ কোটি ডলার অর্থায়ন বা ঋণ দেবে এডিবি। অবশিষ্ট ১ কোটি ৭৪ লাখ ৪৪ হাজার ডলার ব্যয় করবে বাংলাদেশ সরকার।