ঢাকা: ডক্টর ইউনূসের কথাবার্তা, ভাষণ শুনলে মনে বাংলাদেশকে তিনি কিনে নিয়েছেন। এবং এই যে ১৭/১৮ কোটি মানুষ আছে তাঁরা ইউনূসের অর্থেই জীবনধারণ করছে। অথচ দেখা যাচ্ছে ডাস্টবিনে পড়ে থাকছে মানুষ অনাহারে, ঠিক যেন সেই মন্বন্তর!
জুলাই জঙ্গী-সন্ত্রাসীরা দেশে দাঙ্গা বাধিয়ে নিতান্তই একজন স্বার্থলোভীকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এনে বসিয়েছে, এ বিষয়ে সারাদেশের মানুষ এখন একমত।
জনগণ বাজারে যেতে পারেনা, জিনিসের দামে হাতে ছ্যাঁকা লাগে। সব পণ্যের এত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলার মানুষ ৬৬৬ কোটি টাকার কর মওকুফের নামে ইউনূসের চরম অন্যায় ও স্বার্থপরতা দেখেছে। এ টাকাগুলো দেশের জনগণের হকের টাকা ছিলো, এগুলো রাষ্ট্রের টাকা ছিলো।
নিজের ভালো-মন্দ ষোল আনা বুঝলেও জনগণের দুঃখ-দুর্দশা দেখছেননা তিনি।
আয়-রোজগার কমে গিয়ে দেশের মানুষের আজ মরণ দশা হয়েছে; অথচ রাষ্ট্রের জনগণের শত শত কোটি টাকা খরচ করে বিতর্কিত এক-একটি বিদেশ সফরে ব্যস্ত ইউনূস।
আবার তিনিই বলছেন ১৭ কোটি মানুষকে তিনি নাকি খাওয়ান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ছোট ভূমির দেশ। আয়তনে ইতালির অর্ধেক। কিন্তু আমরা ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে খাওয়াই, পাশাপাশি আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে, যারা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পালিয়ে এসেছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এত সুন্দর কথাগুলো বলেন।
লিখিত বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন, আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, যা আমাদের প্রধান খাদ্যশস্যে। আমরা বিশ্বের শীর্ষ ধান, শাকসবজি ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। আমাদের কৃষকেরা ফসল চাষের ঘনত্ব ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন। আমরা ১৩৩টি জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা কৃষক মেকানাইজেশনে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়েছি। শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থাগড়ে তুলেছি। শিশুদের খর্বতা কমেছে, খাদ্যতালিকা বৈচিত্র্যময় হয়েছে মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার মাধ্যমে। কৃষি আরও সবুজ হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি আনন্দিত যে ‘ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালাচারাল অরগানাইজেশন (এফএও)’ কর্তৃক ২০১৬ সালে গঠিত ‘নোবেল পিস লরিয়েটস অ্যালায়েন্স ফর ফুড সিকিউরিরটি অ্যান্ড পিস’, যার একজন সদস্য আমি; সেটি এখন এফএও’র একটি মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি আশা করি এটি আরও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে।
