ঢাকা: বাংলাদেশে কৃষক-কৃষাণী ভাই বোনদের জন্য বিশেষ সুখবর! ধানের তিনটি নতুন জাত উদ্ভাবন হয়েছে।

১)লবণাক্ততা সহনশীল ব্রি ধান-১১২

২)উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-১১৩

৩)ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ব্রি ধান-১১৪

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ধানের এই তিনটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে।

বুধবার (১৮ জুন) এনএসবির ১১৪তম সভায় নতুন জাত তিনটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

উল্লেখযোগ্য যে, এই নিয়ে ব্রি ৮টি হাইব্রিড জাতসহ মোট ১২১টি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে।

১৮ জুন ২০২৫ জাতীয় বীজ বোর্ডের (এনএসবি) ১১৪তম সভায় নতুন এই তিনটি জাত অনুমোদন করা হয়।

ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, নতুন উদ্ভাবিত জাতগুলোর মধ্যে ব্রি ধান-১১২ লবণাক্ততা সহনশীল ও মাঝারি জীবনকালীন রোপা আমনের জাত।

ব্রি ধান-১১২ লবণাক্ততার মাত্রাভেদে হেক্টর প্রতি ৪ দশমিক ১৪ থেকে ৬ দশমিক ১২ টন ফলন দিতে সক্ষম।

এই জাতের জীবনকাল হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ দিন এবং গাছের উচ্চতা হলো ১০৩ থেকে ১০৫ সেন্টিমিটার।

ব্রি ধান-১১৩ জাত বোরো মৌসুমের জনপ্রিয় জাত ব্রি-২৯-এর বিকল্প হিসেবে ছাড়করণ করা হয়েছে।

এর গড় জীবনকাল হলো ১৪৩ দিন।

নতুন ব্রি ধান-১১৪ বোরো মৌসুমের দীর্ঘ জীবনকালীন ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী জাত।

এই গাছ খুব মজবুত আর সহজে হেলে পড়ে না। পাতার রং হয় গাঢ় সবুজ।

এই জাতটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতাসম্পন্ন। এই জাতের ধান চাষে কৃষককে ব্লাস্ট রোগ নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *