ঢাকা: মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কিনবে বাংলাদেশ।

তবে যার জন্য কেনা হবে এসব উড়োজাহাজ, সেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বলছে, তারাই নাকি এই বিষয়ে কিছু জানে না।

বোয়িং কেনা হচ্ছে, জানেই না বিমান!

তো বিষয়টা কী দাঁড়ালো?

এয়ারলাইন্সের প্রয়োজন বিবেচনায় না রেখে ওপর থেকে এমষ কেনাকাটা চাপিয়ে দেওয়াকে ‘অদ্ভুত’ বলছেন এভিয়েশন খাত সংশ্লিষ্টরা।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কিচ্ছু জানে না এই ব্যাপারে!?

অথচ উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকেই আসার কথা। এ সংক্রান্ত চুক্তিও হওয়ার কথা বিমানের সঙ্গে বোয়িংয়ের।

যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা বড় অংকের শুল্ক কমানোর জন্য আলোচনার মধ্যে রোববার মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার ক্রয়াদেশ দেওয়ার কথা জানান বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।

তবে বিশ্ববিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ইউনূসের হাঁটুর বুদ্ধি হাঁটুতেই। যেই কাজ করতে যান, সেই কাজেই তালগোল পাকিয়ে বসে থাকেন।

এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা, যাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বাড়তি ৩৫ শতাংশ শুল্কের বোঝা থেকে বাংলাদেশকে রেহাই দেয়।

আলোচনার সময় পেয়েও আলোচনা করেননি ইউনূস। ভেবেছিলেন তাঁর নামেই সব করে দেবে আমেরিকা। অথচ এখন পড়েছেন মহা বিপদে।

প্রশ্ন থেকে যায়—এই চালগুলো আসলেই কতটা কাজে দেবে?

এই কূটনৈতিক চাল কাজে দেবে, নাকি সব “স্মার্ট মুভ” বলেই শেষ পর্যন্ত ধাক্কা খাবে?

বাণিজ্য সচিব বলেন, বিমান বহর বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের আগে থেকেই ছিল এবং এবার ২৫টি বোয়িং কেনার অর্ডার দেওয়া হয়েছে, যা ভারত, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো অন্যান্য দেশের বড় অর্ডারের মতোই।

তবে বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম রওশন কবীর সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমরা এ বিষয়ে অবগত নই।”

বর্তমানে বিমানের বহরে ২১টি এয়ারক্রাফটের মধ্যে ১৬টি বোয়িং এবং ৫টি ড্যাশ-৮০০ উড়োজাহাজ রয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *