ঢাকা: নির্বাচনের ঘণ্টা বেজে গেল বাংলাদেশে। দিনক্ষণ ঘোষণা করলো কমিশন। তবে আওয়ামী লীগ ছাড়া জনগণ প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিচ্ছে তারা ভোট দেবে না। স্লোগান উঠছে ‘নো বোট নো ভোট’!
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬ বাংলাদেশে নির্বাচন হতে চলেছে বলে জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং জমার শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর। এর পরদিন অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।
বৃহস্পতিবার তথা ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি জানান, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। এর পরই কঠোরভাবে শুরু হবে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া।
তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনের পর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক বরাদ্দের পরই প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণায় নামতে পারবেন।
ইসি জানিয়েছে, আগামী সংসদ নির্বাচনে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন ভোটার চূড়ান্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার হলেন ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন, নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন এবং ১,২৩৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
১২ কোটি ৭৬ লাখ ভোটার সারা দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের ভোটকেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২,৭৬১টি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসির তথ্যানুযায়ী, ৬৪ জেলার ৩০০ সংসদীয় আসনে মোট ৪২,৭৬১টি ভোটকেন্দ্র থাকবে। পুরুষদের জন্য ১,১৫,১৩৭টি কক্ষ আর নারীদের জন্য ১,২৯,৬০২টি কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২,৪৪,৬৪৯টি। এ ছাড়াও, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা থাকছে ১৪টি, যেখানে প্রায় ১২,০০০টি ভোটকক্ষ থাকবে।
