ঢাকা: নারীদের ধর্ষণ না করে, অত্যাচার , খুন না করে একটু সুযোগ দেয়া হোক। নারী সুযোগ পেলে অনেক কিছু করে দেখাতে পারে।
তারপরেও বাংলাদেশের শিক্ষা হবে কিনা , তার নিয়ে সন্দেহই আছে।
নারী ফুটবল দল এবার এশিয়ান কাপে।
এটা শুধুই একটা ম্যাচ ছিল না, এটা ছিল লাখো স্বপ্ন, হাজারো ঘামের ফসল।
দীর্ঘ পরিশ্রম, আত্মত্যাগ আর অবিচল মানসিকতা দিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে।
তারা প্রমাণ করেছে, মাঠে নামলে কোনো ‘নারী’ বা ‘পুরুষ’ নয়—সবাই যোদ্ধা।
মেয়েরাও যে পারে এটাই তো বুঝতে কষ্ট জঙ্গী বাহিনীর। তাই প্রতিদিন নারী ধর্ষণ হচ্ছে, নারী স্বাধীনতার কথা বললে বোরখা পরিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে রাখার কথা বলা হচ্ছে।
আত্মত্যাগ আর অগাধ বিশ্বাসে পথ পেরিয়ে বাংলাদেশী মেয়েরা পৌঁছালো এশিয়ার মানচিত্রে গর্বের জায়গায়।
ইয়াঙ্গুনে শক্তিশালী মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। সেই জয়েই নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশ চূড়ান্ত পর্বে যাওয়া। অপেক্ষা ছিল ৫ জুলাই শেষ ম্যাচের জন্য।
তবে সন্ধ্যায় একই গ্রুপে (‘সি’ গ্রুপ) বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তানের ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় এক ম্যাচ হাতে রেখেই গ্রুপ–সেরা নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে ২০২৬ এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নেওয়ার ঐতিহাসিক সাফল্যের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছে দেশবাসী।
এই অর্জন, এই সাফল্য, এই গৌরব ও মর্যাদায় যারা মাঠে ও মাঠের বাইরে অবদান রাখছেন রাষ্ট্র তাদের যথাযথ সুযোগ-সুবিধা, নিরাপত্তা ও স্বীকৃতি দেবে কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ!
কারণ নারীদের এই দেশে এগিয়ে যাওয়া বিরাট অন্যায়।