ঢাকা: যে সংবিধানের অধীনে রাষ্ট্রপতির থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার শপথ গ্রহণ করেছে সেই রাষ্ট্রপতির নিয়োগকৃত উপদেষ্টা পরিষদ কোন আইনের অনুসারে কোন বিধানের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ দেয়!

দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংবিধান, রাষ্ট্রের প্রধান মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে রক্ষার শপথ নিয়ে সেই সেনাবাহিনী কি আদৌ তাদের শপথ রক্ষা করবেন নাকি স্বাধীনতা বিরোধী জঙ্গিদের হাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব তুলে দিয়ে দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী থেকে দেশ বিরোধী হানাদার বাহিনীতে পরিণত হবে কিনা সেটা এখন দেখার বিষয়!

কারণ পরিস্থিতি খুব জটিল দেখা যাচ্ছে।

বিদেশে বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের কার্যালয় ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

কয়েকটি মিশনের কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, এই নির্দেশনা কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানো হয়নি।

টেলিফোনে অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরে ওই কূটনীতিকদের অন্য মিশনগুলোতে খবরটি পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনারকে কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রবীণ রাজনীতিক শাহবুদ্দীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ‘আস্থাভাজন’ বলেই পরিচিত। তিনি ইস্পাত দিয়ে গড়া। এত সহজে ভেঙে পড়ার ধাতু তিনি নন।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন (চুপ্পু) একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তিনি পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর আহ্বায়ক ছিলেন।

১৯৭১ সালের ৯ এপ্রিল তিনি ভারতে যান এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে পাবনা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করেন।

তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং দুদকের কমিশনার ছিলেন।

তিনি একা দায়িত্ব নিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক দুর্নীতি আর পদ্মা সেতুর বিষয়ে আগেও ইউনুস আর আমেরিকার আন্তর্জাতিক চক্রান্তকে প্রতিহত করেছেন।তিনি সৎ, দৃঢ় এবং অত্যন্ত সাহসী ব্যক্তিত্ব।

বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কটুক্তি করা বা অপমান করার অধিকার কারো নেই।

কিন্তু সেই জায়গায় বড় ঘোরেল রাজনীতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো কোনো রাষ্ট্রপতিকে এতটা ছোট করা হয়নি। আজ যেটা করা হচ্ছে । আজ রাষ্ট্রপতি শুধু পদবি, কিন্তু মর্যাদা শূন্য!

সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গভবন ও মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে ইউনুস রেজিমের নোংরা প্রত্যাশা প্রকট ভাবে অন্য স্টাইলে ডিজাইন করা হচ্ছে এবং এই স্টাইলে মহামান্যকে মাইনাস করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা এবং এবার তারা সাকসেস হতে চায়।

মহামান্য রাষ্ট্রপতির ছবি বিভিন্ন দূতাবাস থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ ও তা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা না করার মাঝখানে সাংবিধানিক অস্তিত্বের প্রশ্ন জলপাই আর ইউনুসের মধ্যে লুকোচুরি শুরু হয়েছে। যার ফলে নির্দেশ এখনো স্পষ্ট নয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *