ঢাকা: বিশ্বে যুদ্ধের ঘনঘটা। এই যুদ্ধের ফলে বিশ্বের প্রায় সব দেশ চিন্তা করছে কিভাবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভালো করা যায় এবং সেই সাথে অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা বিশেষ করে মিসাইল,ক্ষেপনাস্ত্রের মজুদ বাড়ানো যায়।

শুধুমাত্র বাংলাদেশের চিন্তাভাবনা অন্য। যেহেতু এখানে শাসন করছেন ইউনূস।

বিশ্বের প্রায় সব দেশে প্রতিরক্ষা খাতে সর্বোচ্চ ব্যায় করেন কিন্তু আমাদের দেশে দিনে দিনে তা আনুপাতিক হারে কমে।

বাংলাদেশে কি গবেষণা হয়?? হলেও সেটা শুন্যের কোঠায়।

একটা অসুস্থ টিকটক জাতি হয়েছি আমরা।

বাংলাদেশে মেধাবী আছে কিন্তু সেই মেধার বিকাশ ঘটানোর জন্য তাদের পিছনে অর্থ ব্যয় করার জন্য দেশপ্রেমিক কোন মানুষ নেই । সরকার তো নেইই।

স্বাধীনতার কয়েক যুগ পড়ে এসেও এই দেশ দেশের মানুষদের নিরাপত্তার জন্য একটা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও তৈরি করতে পারেনি।

অস্ত্র ছাড়া যারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে, সেই সমস্ত বীর সন্তানেরা এই দেশে এখন আর জন্মাবে বলে মনে হয় না।

অথচ ভারত নিয়ে ট্রোলের সীমা নেই।

উল্লেখযোগ্য যে, ১২ দিনের যুদ্ধে ইরান প্রায় ৫৩২টি মিসাইল ছুড়েছে ইসরায়েলে, যার মধ্যে ৪২টি মিসাইল ভূমিতে আঘাত করেছে।

অর্থাৎ প্রায় ৯২ শতাংশ মিসাইল আকাশে ঠেকিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এতটাই শক্তিশালী।

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ভারতে গর্জে উঠেছে রাশিয়ায় তৈরি অত্যাধুনিক এস-৪০০ কিংবা ভারত-ইসরায়েলের যৌথভাবে তৈরি বারাক-৮।

বাংলাদেশের আকাশ কতটা সুরক্ষিত?

তথ্য বলছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী ও পূর্ণাঙ্গ আকাশ প্রতিরক্ষা বলয় পর্যন্ত গড়ে তুলতে পারেনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষার বর্তমান বাস্তবতা উদ্বেগজনক।

বিমান বাহিনীর হাতে আছে ৪৪টি যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে ৩৬টি চীনের তৈরি পুরনো মডেলের এফ-৭ ও ৮টি সোভিয়েত যুগের মিগ-২৯।

প্রশিক্ষণ কাজে ব্যবহৃত রুশ ইয়াক-১৩০ যুদ্ধবিমান ১৪টি, যা হালকা আক্রমণেই ব্যবহারযোগ্য।

বিমানবাহিনীর বহরে হেলিকপ্টার রয়েছে ৭৩টি। এর মধ্যে রাশিয়ার এমআই সিরিজের ৩৬টি হেলিকপ্টার আছে। যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত সেসনা, বেলের বিভিন্ন মডেলের হেলিকপ্টার আছে ২৪টি।

দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর পরিষ্কার বলেছেন, ‘আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একেবারে জিরো না হলেও জিরোর কাছাকাছি।

যে প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক সামরিক প্রযুক্তির প্রেক্ষাপটে এগুলোর কার্যকারিতা আছে বলে মনে করি না। এসব বিষয়ে নজর দেয়া জরুরি।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাছে ৪৪টি ড্রোন রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি স্লোভেনিয়ায় নির্মিত ব্রামর সি ফোর আই।

তুরস্কের তৈরি বায়রাখতার টিবি টু আছে ছয়টি।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে সাবমেরিন রয়েছে দুটি।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে সব মিলিয়ে নৌযান আছে ১১৭টি। এর মধ্যে সাতটি ফ্রিগেট বা রণতরী আছে বাংলাদেশের।

সঙ্গে আরো আছে ছয়টি কর্ভেট যুদ্ধজাহাজ।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাছে রয়েছে ৩২০টি ট্যাংক।

এবং বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাছে ৪৬৪টি কামান আছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *