ঢাকা: গত ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পরেই বাংলাদেশে বাড়তে থাকে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ। এই আবহে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছে।
তাছাড়াও বাংলাদেশ পাকিস্তান প্রেমী হয়ে উঠেছে, ফলে প্রতিবেশী দেশের সাথে স্বাভাবিকভাবেই ভারত দূরত্ব বজায় রাখছে।
শেখ হাসিনার শাসনামলে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক মধুর ছিলো। কিন্তু ইউনূস সেটা পারবেন না বা ভারতের তাঁর কর্মকাণ্ড পছন্দ নয়।
এদিকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে ভারতের যে সম্পর্ক ছিল, সেটির বদলে এখন সম্পর্ক ‘পুনর্বিন্যাসের’ পর্যায়ে আছে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিফ্রিংয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, “ভারতের সাথে সম্পর্ক শীতল আমি বলতে চাই না। আমি বলতেছি যে, এটা একটা রিঅ্যাডজাস্টমেন্টের (পুনর্বিন্যাস) পর্যায়ে আছে। আমরা এটাকে এভাবে দেখি।
“রিঅ্যাডজাস্টমেন্টের পর্যায়ে আছে এবং এ ব্যাপারে আমাদের স্বদিচ্ছার কোনো অভাব নেই। এটুকু বলে আমি এখানে থামব।”
তবে বাংলাদেশের যখন তখন স্বদিচ্ছাকে ভারত কেন প্রশ্রয় দেবে?
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, “আমরা সত্যটাকে বরং স্বীকার করি যে, পূর্ববর্তী সরকারের সাথে ভারতের যে রকম ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, ভারত যে রকম সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছিল, আমাদের সাথে বর্তমান সম্পর্কটা ঠিক ওই রকম নাই। কাজেই এটাকে আমি রিঅ্যাডজাস্টমেন্ট বলছি।”
ভারত বাংলাদেশকে জন্মলগ্ন থেকে সহায়তা করেছে কিন্তু বাংলাদেশ বিশেষ করে বর্তমান যা অবস্থা সেই প্রতিদান দিতে পারেনি।
অবশ্য প্রতিদান ভারত চায় না। কিন্তু বাংলাদেশের ৯০% জনগণ যেভাবে ভারতবিদ্বেষী হয়ে উঠেছে, এবং পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকেছে তাতে ভারত কেন প্রশ্রয় দেবে বাংলাদেশকে?
তাছাড়া, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত সরকার।
ফলে ভারত এখন কঠোর অবস্থানে আছে। দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার ঘটনাও ঘটেছে।
এবং সবশেষ ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত।