ঢাকা: বিবিসির প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করেছেন শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

এবং বিবিসির মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংবাদ মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রচারিত অসত্য ও বিকৃত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিবৃতি দিয়েছে।

চব্বিশের ছাত্র আন্দোলন দমানোর জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুলির নির্দেশ নিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদন করেছে।‌যার তীব্র সমালোচনা করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

বুধবার এক ফেসবুক পোস্টে জয় লিখেছেন, বিবিসির ওই প্রতিবেদন ‘অনৈতিক সাংবাদিকতার একটি নির্লজ্জ উদাহরণ’।

“বিবিসি সম্প্রতি ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার উপর ভিত্তি করে একটি বিকৃত তথ্যে ভরা তথাকথিত ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’ প্রকাশ করেছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি টেলিফোন আলাপের নির্বাচিত অংশ তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর নেই, এবং অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলে দাবি করলেও বিবিসি সাংবাদিকতার ন্যূনতম নীতিমালাও মানতে ব্যর্থ হয়েছে।”

ভিত্তিহীন এক প্রতিবেদন ছিলো সেটি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছে যে বিবিসির মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংবাদ মাধ্যমে ভিত্তিহীন ১৮ সেকেন্ডের তথাকথিত অডিও ক্লিপ নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে একটি অসত্য ও বিকৃত প্রতিবেদন প্রচারের বিষয়টি চরম দুর্ভাগ্যজনক, অনভিপ্রেত ও অকল্পনীয়। যা বিবিসির মতো বিশ্বমানের সংবাদ সংস্থার কাছে কেউ প্রত্যাশা করে না।

বাংলাদেশের রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে জুলাই নীলনকশা। এবং যখন এই চরম টানাপোড়েন, তখনই বিবিসি হঠাৎ একটি তথাকথিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার শিরোনাম—”Ex-Bangladesh Leader authorised deadly crackdown, leaked audio suggests”।

এই শিরোনাম আর কিছু না, একটি নিখুঁতভাবে সাজানো মিডিয়া প্রোপাগান্ডা অপারেশনের অংশ। কারণ শেখ হাসিনা শান্তি চেয়েছিলেন। এবং তাঁর রাজনৈতিক জীবনে তিনি লাশের উপর দিয়ে গদিতে বসেননি।

বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা ছিলো এর একমাত্র উদ্দেশ্য।

বিবিসি দাবি করেছে, এটি তাদের ‘BBC Eye’ অনুসন্ধানী ইউনিটের প্রতিবেদন।

একটি কথিত ‘লিকড অডিও’র ১৮ সেকেন্ডের অংশ বিশ্লেষণ করে তারা বলছে, শেখ হাসিনা “মারাত্মক দমন অভিযান” অনুমোদন দিয়েছেন।

এই দাবিকে বিশ্বাসযোগ্য করতে তারা যুক্ত করেছে ব্রিটিশ একটি ফরেনসিক অডিও এনালাইসিস প্রতিষ্ঠান ‘Earshot’ যারা বলেছে, অডিওটি এডিটেড নয়।

খণ্ডিত অংশ কি মানেই না-এডিটেড? এই প্রশ্নটিই হলো বিবিসির ‘অনুসন্ধান’ নামক নাটকের কেন্দ্রবিন্দু।

Earshot হয়তো বলেছে অডিওটি এডিট করা হয়নি, কিন্তু যদি এটি একটি পূর্ণ কথোপকথনের ১৮ সেকেন্ডের খণ্ডিত অংশ হয়, তাহলে স্পষ্টভাবেই এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেটে নেওয়া অংশ।

বিবিসি বলছে, অডিওটি ১৮ জুলাইয়ের। কিন্তু এ তথ্য কে দিয়েছে? Earshot নয়, দিয়েছে “a source with knowledge of leaked audio”।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে যে চরিত্রহননের চেষ্টা চলছে, তা বাংলাদেশের জনগণ খুব ভালো বুঝে ফেলেছে।

তাঁরা ভালো জানে এগুলো ইউনুসের বৈদেশিক মাস্টারপ্ল্যান।

বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস সম্প্রতি ৩৫ মিনিটের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেটাকে তথাকথিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার অংশ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

অথচ সেখানে উদ্দেশপ্রণোদিতভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিত্তিহীন অডিও ক্লিপটি যুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

যেটাতে জোর করে বোঝানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিক্ষোভকারীদের দমন করতে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন।

তবে ভিডিওতে উপস্থাপিত তথ্যে নিরপেক্ষতার চেয়ে পক্ষপাতের ছাপ পরিষ্কার ।

এবং আরো বিষয় হচ্ছে, এই ভিত্তিহীন অডিও ক্লিপের কোনো প্রাপক নেই।

আসলে শেখ হাসিনা পুরোপুরি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। এবং তিনি ষড়যন্ত্র জানেন না বলেই পদ ছেড়ে দিয়েছেন।

এবং ইউনূস যদি ভালো হতেন তাহলে ৫ আগস্টের পর দেশের অবস্থা উন্নতির কথা ছিলো। কিন্তু তিনি শেখ হাসিনার হাতে গড়া দেশটাকে লুটেপুটে খাওয়ার জন্য পদে বসেছেন।‌এবং সেই গদি ছাড়তে তিনি মোটেও রাজি নন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *