ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুর্দশার কথা বললেন অনেক যাত্রী।
বিমানে থাকা সিলেট প্রবাসী রহিম উদ্দিন বলেন, “বিমানের টিকেট করতে গেলে সিট নেই, টাকা বেশি চাওয়া হয়। কিন্তু ফ্লাইটের ভিতর পুরো বিমান ফাঁকা।
বিমানের মধ্যে সব মিলিয়ে ১০০ এর কম যাত্রী হবেন। বিমানের বাজে সার্ভিসের কারণেই এমন দুর্দশা।”
এবার আবারো যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলো। ইউনূসের সরকার যেমন গরুর গাড়ির মতো চলেছে, তেমনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, রেল বিভাগের অবস্থা!
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ আবারও যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়ে। এর ফলে শারজাহ থেকে ঢাকাগামী বিজি-৩৫২ ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে আসে।
যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। দেরির প্রভাব পড়ে পরের ঢাকা-ব্যাংকক রুটের বিজি-৩৮৮ ফ্লাইটেও।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্যাংককগামী যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়।
বিমান কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, শারজাহ থেকে বিজি-৩৫২ ফ্লাইটটির রওনা দেওয়ার কথা ছিল স্থানীয় সময় রাত ১টা ১৫ মিনিটে এবং ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে।
তবে সেই আবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। দেশে যা আছে তারই মেরামত নেই, এখন আবার আমেরিকা থেকে বোয়িং বিমান নেবে বাংলাদেশ!
রাখবে কোথায়, থাকবে কোথায়, গোপন চুক্তি সবেতেই ভেজাল অবস্থা!
যান্ত্রিক সমস্যার কারণে নির্ধারিত সময়ে সেই ফ্লাইটটি ছেড়ে যেতে পারেনি। পরে স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ৪২ মিনিটে উড়োজাহাজটি শারজাহ ত্যাগ করে এবং দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে ঢাকায় এসে অবতরণ করে।
এই একই উড়োজাহাজ দিয়ে পরিচালিত হওয়ার কথা ছিল ব্যাংককগামী বিজি-৩৮৮ ফ্লাইট। শারজাহ ফ্লাইটের দেরির কারণে সেটি সকাল ১১টার ঠিক সময়ে ছাড়তে পারেনি।
এসব ঘটনা বিমানের কারিগরি ব্যবস্থাপনার প্রতি প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।