ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ করার জন্যেই তো আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ। মুক্তিযোদ্ধার রক্তের বিনিময়ে কেনা এই দেশ।
মুক্তিযোদ্ধার দেশে দাঁড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধার কথা কানে বিষ লাগে বিএনপির।
মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়াই স্বাভাবিক। তিনি কোনো রাজাকার নন।
তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে ফজলুর রহমানকে। বলা হয়েছে তিনি মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রবীণ নেতা হওয়ায় শোধরানোর সুযোগ দেওয়া হল। সেই সঙ্গে টিভি টক শো’তে তাঁকে সংযত আচরণ করতে বলা হয়েছে।
কী অদ্ভুত নির্দেশ! জন্মের থেকেই তার রক্তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, তাঁকে কিনা বলা হচ্ছে শোধরাতে!
বিএনপি তার অবস্থান পুরোপুরি পরিষ্কার করে দিলো। এরা যে রাজাকারের দল সেটা আবার, বারবার প্রমাণ করে দিলো।
মিথ্যাবাদী একটি দল বিএনপি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ‘ফজলুর রহমানের বক্তব্যে দল বিব্রত হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যে যত বড় নেতাই হোক না কেন, দলের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত অবস্থান বা বক্তব্যের দায়ভার দল নেবে না।’
প্রিন্স বলেন, ‘ফজলুর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা, ত্যাগী ও সংগ্রামী মানুষ। আমরা তাকে সম্মান করি। তবে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি একান্তই তার ব্যক্তিগত মত। দলীয় রাজনীতিতে ব্যক্তিগত অবস্থান প্রকাশ্যে আনা যায় না।’
বিএনপির রাজনীতি রাজাকারের রাজনীতী। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের জায়গা নেই। এরা দেশবিরোধী।