ঢাকা: জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র কার্যকর হলে দেশে সংবিধান বলতে কিছু থাকবে না। কোন হত্যাকাণ্ডের আর কোনদিন বিচার হবে না।

আপনার/ আমার কারো পরিবারের কেউ মারা গেলেও সেই বিচার পাবেন না।

আর তাতে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই। তা সে যাই হোক। স্বাক্ষর করে নির্বাচন করতে পারলেই বাঁচে।

জুলাই সনদ পত্রে স্বাক্ষরের নামে আসলে পরবর্তীতে কোন রাজনৈতিক দলে জঙ্গিদের ফাঁসি বা আইনের আওতায় এনে সাজা না দিতে পারে তার কৌশল। মুলা ও কলা ঝুলানো নির্বাচন পথে এখন বিএনপি।

জুলাই সনদ নামক টিস্যু পেপারে যাই লেখা থাকুক, বিএনপির কাছে এটা এখন কোনো বিষয় না।

তাদের চালাকিটা হলো, এটা নিয়ে দরকষাকষি করলে নির্বাচন দূরে চলে যাবে। আর নির্বাচন দূরে চলে যাওয়া মানে ক্ষমতাও বিএনপি থেকে দূরে চলে যাওয়া।

“ইউনুস যা কয়,সব মানি, নির্বাচনের পরে ক্ষমতায় বসে দেখমুনে কোনটা রাখমু আর কোনটা ছিঁড়া ফালায়া দিমু।”

এই কারণেই বিএনপি সবেতেই হ্যাঁ হ্যাঁ মেলাচ্ছে।

এই কৌশলের কারণেই ঐক্যমত্য কমিশনের মিটিংয়ে বিএনপি জামাত-এনসিপি ও চরমোনাই ফয়জুলের থেকেও দ্রুত গতিতে ইয়েস-ইয়েস করেছে।

বিএনপি যেকোনো সময় জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, জুলাই সনদ হাতে পাওয়ার পর ৩০ জুলাই কিছু সংশোধনীসহ জবাব দিয়েছে বিএনপি। সনদ বাস্তবায়নে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে।

আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক মূল্য আছে। ঘোষণাপত্রের বিষয়ে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সে বিষয়ে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতেই জবাব দিয়েছে বিএনপি।

প্রস্তাবে ২৬ মার্চকে উপস্থাপন করতে চাওয়া হয়নি। এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি।

তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, বিএনপি নাকি সহযোগিতা করছে না। আমরা নাকি নিশ্চয়তা না পেলে সনদে সই করব না। কিন্তু এ বিষয়ে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *