ঢাকা: বিএনপি আজের দিনে এসে কথায় কথায় নির্বাচন চায়। তবে একটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন চাওয়া খারাপ কিছু না।

কিন্তু আজ যে প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে তারা নির্বাচন চাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে সেই প্রেক্ষাপট তাদের তৈরি না। এই প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ।

তবে বিএনপি-র অত্যাচার কম হয়নি দেশে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর বিএনপির নেতৃত্বে সারা দেশে যে চাঁদাবাজি, লুটপাট, আগুন-সন্ত্রাস চালানো হয়েছে — তার একেকটি ঘটনায় লক্ষ লক্ষ পরিবার নিঃস্ব হয়েছে।

এদেশের সাধারণ মানুষ আজ তাদের অশ্রু ঝরাচ্ছে আজ। আর এত অন্যায় করে বিএনপি এই মুহূর্তে নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে।

২০২৫ এর ডিসেম্বরের মধ্যেই আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি। ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায় বিএনপি।

মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপি।

২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা করার পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়িয়েছে।

বিএনপি এত দেরির নির্বাচন কোনোভাবেই মানবে না। এই ঘোষণার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি।

দলটি তাদের পুরোনো অবস্থানে অনড় থেকে জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন এই বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পরপর রাতেই বৈঠকে বসে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি।

লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি থেকে বিএনপি এক চুলও নড়বে না।

বিএনপি দেশে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়।

সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনগণের বিপুল আত্মত্যাগে অর্জিত বিজয় সত্ত্বেও নির্বাচন অনুষ্ঠান বিলম্বিত হওয়ায় মানুষ হতাশ ও ক্ষুব্ধ।

এদিকে দেশের অবস্থায় ক্ষুব্ধ জনগণ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা বলছেন:

লুটেরাদের বিচার না হলে এদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না — এটাই বাংলার জনগণের হুঁশিয়ারি।

জনগণ বলছে, আগে বিচার হবে, তারপর নির্বাচন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *