ঢাকা: খালেদা জিয়াকে মেহেরবানী করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বয়স হয়েছে অসুস্থ , তাই বাড়ি থেকেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
এত কিছুর পরেও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে তাঁকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। তিনি মহানুভব ছিলেন, তাই খালেদা জিয়ার মতো অপরাধীকে করুণা করেছিলেন।
হাসিনা সরকারের আমলে খালেদা দুর্নীতির দু’টি মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হয়েছিলেন। তাঁর মোট ১৭ বছরের জেলের সাজা হয়। দু’বছরের বেশি সময় তিনি জেলে ছিলেন।
পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাসিনার সরকার এক অন্তর্বর্তী আদেশে খালেদার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ স্থগিত করে তাঁকে শর্তসাপেক্ষে গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
কিন্তু হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ অগস্ট রাতে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠকের পরে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন ঘোষণা করেন, খালেদার সাজা মকুব করে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে।
এবং পরের দিনই সরকারি নির্দেশিকা জারি করে তা কার্যকর করা হয়। সে দিনই তাঁর পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণ করা হয়।
এখন খালেদা জিয়া মুক্ত বিচরণ করছেন। এবার ফের লণ্ডনে যাবেন। তবে মহাজন ইউনূসের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে খালেদা জিয়া লণ্ডন যাচ্ছেন! খুব আপোসহীন গেল তাই না?
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে পাঠাতে চায় দলটি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়ে একটি ‘অতি জরুরি’ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিটি রবিবার (২৭ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার সই করা অবস্থায় পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের দপ্তরে পাঠানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চিকিৎসক টিমের পরামর্শে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে গমন করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
সে লক্ষ্যে তার এবং তার চার সফরসঙ্গীর জন্য নোট ভারবাল ইস্যু করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
চিঠিতে যেসব নাম উল্লেখ রয়েছে:
১. বেগম খালেদা জিয়া ২. এ বি এম আবদুস সাত্তার (একান্ত সচিব) ৩. মো. মাসুদার রহমান ৪. ফাতেমা বেগম ও ৫. রুপা সিকদার
উল্লেখযোগ্য যে, এ বি এম আবদুস সাত্তার বলেন, খালেদা জিয়ার লন্ডনের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই নতুন করে ১০ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার জন্য আবেদন করা হয়েছে।