ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের সবকিছুই এত তাড়াহুড়া করে করা হচ্ছে, যেখানে জনগণের কথা, মতামত, উদ্বেগ কিছুই গুরুত্ব পাচ্ছে না।
খসড়া নীতিমালায় রয়েছে ভয়াবহ অস্পষ্টতা।
বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে একমত হতে পারছে কোনো কিছুতেই। আসলে কেউই কারো আস্থাভাজন নয়। ফলে একে অপরের প্রতি অবিশ্বাস।
অন্তর্বর্তী সরকার টেলিকম খাতে শীঘ্রই নতুন নীতিমালা করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
দলটির পক্ষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই নীতিমালা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন, ‘টেলিকম খাতের পলিসি নির্ধারণে সরকার তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
গ্রামীণ জনগণের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা টেলিকম খাতের টেকসই উন্নয়নে বাধা হতে পারে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ উদ্বেগের কথা জানান।
তবে বিএনপির কেন এক্ষেত্রে অসুবিধা সেটাও প্রশ্ন উঠছে।
উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে গ্রামীণ টেলিকম তথা গ্রামীণফোনের লাইসেন্স গ্রহণ করেন ডাকাত মুহাম্মদ ইউনূস।
লাইসেন্স গ্রহণের আগে তিনি সরকারের কাছে অঙ্গীকার করেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য গ্রামীণফোনের লাইসেন্স নিতে চান তিনি।
মুনাফা নয় বরং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সেবা দানই হবে এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।
এমন অঙ্গীকারের পর অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণ টেলিকমকে লাইসেন্স দেয় সরকার।
কিন্তু ডাকাত মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে শুধু নিজের স্বার্থ দেখেছেন।
গ্রামীণফোনের অধিকাংশই শেয়ার বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেন। এতে করে শান্তিতে নোবেলজয়ী ডাকাত মুহাম্মদ ইউনূসের এক প্রতিষ্ঠানই গ্রামীণ টেলিকম প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি দেয়।
এবং নিজেকে বাঁচানোর জন্য ইউনূস তার কর ডাকাতির বিষয়গুলো ধামাচাপা দিতে দেশের আদালতে বেশ কিছু মামলা ও রিট পিটিশন দায়ের করে রেখেছেন।
এসব মামলা ও রিটের উদ্দেশ্য হচ্ছে কর ফাঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে ডাকাত ইউনূস সুবিধা পাওয়া।