ঢাকা: বাংলাদেশে মানবাধিকার বলতে কিছু আছে বর্তমানে? এই শব্দটা এখন শুধু কাগজের পাতায়, বাস্তবে এর ব্যবহার শূন্য। অধিকারই নেই, তার আবার মানবাধিকার!

মানবাধিকার লঙ্ঘন করা এখন সরকারের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড় অসহায় মানুষ।

আর বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাঁচজন ব্রিটিশ এমপি, যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের এক সদস্য ও এক মানবাধিকার আইনজীবী।

তারা যুক্তরাজ্য সরকার, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ন্যায়বিচার ও নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিতে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস–এর চিঠিপত্র পাতায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য বব ব্ল্যাকম্যান, জাস অ্যাথওয়াল, নিল কোয়েল, গুরিন্দর সিং এবং লিউক একহার্স্ট।

তাদের সঙ্গে চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের সদস্য ব্যারোনেস স্মিথ অব লানফায়েস এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ও মানবাধিকার আইনজীবী স্টিভেন পাওলস।

‘বাংলাদেশিদের অধিকার’ শিরোনামে প্রকাশিত চিঠিতে তারা উল্লেখ করেছেন, “এক বছরের বেশি সময় আগে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। আমরা সেখানকার অবনতি ঘটতে থাকা মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।”

আইনপ্রণেতারা পরিষ্কার দাবি করেছেন, বাংলাদেশে বিচারব্যবস্থার ব্যর্থতা, জামিন না দেওয়া, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গ্রেপ্তার, নির্বাচনে কিছু দলকে নিষিদ্ধ করা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার মতো নানা অভিযোগের নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন রয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, “আমরা ব্রিটিশ সরকার, বিশেষ করে ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (FCDO), জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাই—তারা যেন ন্যায়বিচার, নাগরিক স্বাধীনতা ও দায়মুক্তির অবসান নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে।”

তারা আরও বলেন, “নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন এবং একটি স্থিতিশীল বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা ও আস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য অত্যন্ত জরুরি।”

কিন্তু তারপরেও ইউনূস সরকারের লজ্জা হবে কিনা তাতে সন্দেহ আছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *